ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়ন প্রকল্প দারিদ্র্য কমাচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৫
উন্নয়ন প্রকল্প দারিদ্র্য কমাচ্ছে ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল(ইফাদ)-এর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের দারিদ্র কমাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক হুনে কিম।
 
রোববার(৭ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল রাউন্ড টেবিল ওয়ার্কশপে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগ ও ইফাদ কান্ট্রি ইভাল্যুয়েশন প্রোগ্রাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন  করে।
 
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীপর্বে বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর সহায়তাপুষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে। এর ফলে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন ও কৃষি উৎপাদনশীলতাও বাড়ছে।
 
মন্ত্রী বলেন, যারা চরম ও মোটামুটি দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে সেসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইফাদ’র প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হওয়ায় দারিদ্র্য বিমোচনের কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হচ্ছে। দরিদ্র এলাকা, জনসংখ্যা, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে প্রকল্প গ্রহণ করায় সুনামগঞ্জের হাওর ও নোয়াখালীর দুর্গম চরাঞ্চলে দারিদ্র্য অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ইফাদ।
 
ইফাদের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ইভাল্যুয়েশন প্রতিবেদন উল্লেখ করে সংস্থাটির আইওই পরিচালক অস্কার গার্সিয়া বলেন, বাংলাদেশে ইফাদ সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো সার্বিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইফাদ প্রকল্পগুলোর আওতায় সারাদেশে ৯৭ লাখ ২ হাজার ৫৬৩ টি পরিবার সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। প্রকল্পগুলো ক্ষুদ্রঋণ, গ্রামীণ অবকাঠামো, কমিউনিটি ভিত্তিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়নে অবদান রাখছে।
 
ইফাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক হুনে কিম বলেন, ইফাদ বাংলাদেশের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে দীর্ঘ দিনের অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়ননীতি, অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং প্রয়োজনের সঙ্গে ইফাদের উন্নয়নকৌশল সব সময় সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো।

প্রসঙ্গত, সহায়তা প্রাপ্তির দিক থেকে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ চতুর্থ শীর্ষ দেশ। ১৯৭৯ সাল থেকে ইফাদ বাংলাদেশে কাজ করছে। এ সময় ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে ইফাদ। বাংলাদেশ সরকার এবং উপকারভোগিরা বিনিয়োগ করেছে ৩৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের প্রায় সব দেশে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, দারিদ্রবিমোচনের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে পুষ্টির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ইফাদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৫
এজেড/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।