ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিকসামগ্রীর ওপর ধার্যকৃত শুল্ক হ্রাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সেই সঙ্গে প্লাস্টিক শিল্প কারখানা স্থানান্তরের জন্য প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (০৮ জুন) দুপুর দেড়টায় পল্টনে সংগঠনটি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক পন্যের শুল্ক ০.৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা, মৌলিক কাঁচামালের শুল্ক বহাল, প্লাস্টিকের তৈরি টিস্যু, হোল্ডার, আইস ট্রে, আইস স্কুপ, হ্যাঙ্গার পণ্যের ওপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ, সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ করা, প্লাস্টিক খেলনা আইটেমের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ এ শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে দানা উৎপাদন, প্লাস্টিক তৈজসপত্রে ভ্যাট অব্যাহতি শিল্প বিস্তারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সেই সঙ্গে প্লাস্টিকসহ সব মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ, ব্যক্তি করসীমা বাড়ানো, খেলনা যন্ত্রাংশ আমদানিতে নতুন এস কোড সৃষ্টির মাধ্যমে ৭টি আইটেমে ৫ শতাংশ শুল্ক রেয়াত সুবিদা, শিল্পকারখানার অগ্নিনিরাপত্তা যন্ত্রপাতি, হেভি ডিউটি, ট্রান্সফর্মার, মোটর, বাসবার ট্রাঙ্কিং সিস্টেম দ্রব্যে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ ধার্য্য করা শিল্পায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৫টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন তৈরির কথা বললেও এখন পর্যন্ত একটিরও বাস্তবায়ন হয়নি। নীমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে পুরনো ঢাকার প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি লোকেট করে সেগুলোকে স্থানান্তরের জন্য শিল্পপার্ক স্থাপন খুবই জরুরি।
প্রস্তাবিত বাজেটে চলতি বাজেট থেকে ১৩.৯৩ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায়, বাজেটে ঘাটতির টাকা আভ্যন্তরীণ ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে মেটানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি।
এছাড়া প্লাস্টিক শিল্প বিকাশে ১০ বছরের জন্য ‘ট্যাক্স হলিডে’ নগদ সহায়তা ও শিপম্যান্ট কস্ট কমানোর সুপারিশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ০৮ জুন, ২০১৫
আইএএ/আরএম