ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নেপালে সহায়তা

বাংলাদেশে কৃতজ্ঞতাপত্র নিয়ে এলেন চিরঞ্জীবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
বাংলাদেশে কৃতজ্ঞতাপত্র নিয়ে এলেন চিরঞ্জীবি ড. আতিউর রহমান ও ড. চিরঞ্জীবি

ঢাকা: সম্প্রতি হিমালয় কন্যা নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশ থেকে সহায়তা পাঠানোয় নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল ৫টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে নেপাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. চিরঞ্জীবি নেপাল প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের হাতে এ কৃতজ্ঞতাপত্র তুলে দেন।



এর আগে ‘৩০তম সার্কফাইন্যান্স গ্রুপ মিটিং অ্যান্ড সার্কফাইন্যান্স গভর্নরস সিম্পোসিয়াম’ শীর্ষক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের আর্থিক সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

কি ধরনের শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেয় এবং দুর্যোগ পরবর্তী অবস্থা কাটিয়ে উঠতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে নেপালের অবস্থান কেমন হওয়া উচিৎ সে বিষয়ে আতিউর রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করেন চিরঞ্জীবি নেপাল।

আতিউর রহমান জানান, বাংলাদেশ ন্যূনতম শর্তে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়। দুর্যোগ পরবর্তী ধকল কাটিয়ে উঠতে নেপালের প্রয়োজন মতো ঋণ দাবি করা উচিৎ, যেন পরিকল্পনা অনুযায়ী ঋণের অর্থ ফেরৎ দেওয়া সম্ভব হয়।

চিরঞ্জীবি বাংলাদেশি টাকার সঙ্গে নেপালী রুপি বিনিময়ের প্রস্তাব রাখেন আতিউর রহমানের কাছে। এসময় বিনিয়োগ কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব

দেওয়ার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

তিনি বলেন, নেপালের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব এলে নিশ্চয়ই তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

চিরঞ্জীবি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনেক নেপালী শিক্ষার্থী লেখা-পড়া করে, ভূমিকম্পে যাদের অনেকেরই অভিভাবক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে এসব শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যেসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা দেওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের করপোরেট সোসাল রেসপন্সেবিলিটি’র (সিএসআর) উদ্যোগে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যেন ওইসব শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, যোগ করেন আতিউর রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৬ হাজার ৩শ ২৮টি কম্বল, ৫ হাজার ৫০৭টি তাবু ও ২ হাজার ৩৭৬টি ব্যাগ ও কার্টন গত ২৬ এপ্রিল নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বরাবর পাঠানো হয়।

গত ২৫ এপ্রিল নেপালের স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫ আপডেট সময়: ২১১৪ ঘণ্টা.
এসই/এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।