ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটে বরাদ্দ বৈষম্য

পানি বঞ্চিত হবে দেশের ৩ শতাংশ এলাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
পানি বঞ্চিত হবে দেশের ৩ শতাংশ এলাকা ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বরাদ্দ বৈষম্যের কারণে দেশের ৩ শতাংশ এলাকা পানি ও স্যানিট্রেশন সেবা নিশ্চিত করা যাবে না। আর উপকূল ও চরাঞ্চলে বরাদ্দ না থাকায় সেবা বঞ্চিত হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।


 
শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিট্রেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ বৈষম্যের অভিযোগ তুলে এ দাবি করা হয়।
 
বাজেট পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ওয়াটার এইড।
 
সংবাদ সম্মেলনে ওয়াটার এইডের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি প্রধান শামীম আহমেদ ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বাজেটে পানি, স্যানিট্রেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।  
 
ওয়াটার এইডের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মো. খায়রুল ইসলাম, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচডিআরসি) পরিচালক ড. অভিজিৎ পোদ্দার, বাংলাদেশ ওয়াশ এলায়েন্স’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক কুমার মজুমদার, দক্ষিণ এশিয়ার ফ্রেস ওয়াটার অ্যাকশন নেটওয়ার্ক কো-অর্ডিনেটর ইয়াকুব হোসেন, ইউনিসেফের ওয়াশ স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ মনিরুল আলম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।    
 
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ২০১৫-২০১৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে পানি, স্যানিট্রেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বিগত বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গম ও সুবিধা বঞ্চিত হাওর, উপকূল, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চা বাগানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করায় মোট বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ শূন্যের কাছাকাছি।
 
জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিট্রেশন ও হাইজিন খাতে গত অর্থবছরে প্রায় ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বরাদ্দ থাকলেও এবার তা কমে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কম।        
 
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার ফ্রেস ওয়াটার অ্যাকশন নেটওয়ার্ক কো-অর্ডিনেটর ইয়াকুব হোসেন বলেন, বাজেটে বরাদ্দ বৈষম্যের কারণে দেশের ৩ শতাংশ এলাকায় পানি ও স্যানিট্রেশন নিশ্চিত করা যাবে না। চরাঞ্চল ও উপকূলে বরাদ্দ না থাকায় প্রান্তিক জনগণ এ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
 
ড. অভিজিৎ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচডিআরসি) পরিচালক ড. অভিজিৎ পোদ্দার বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পানি ও স্যানিট্রেশনের কারণে দরিদ্র মানুষকে ৩/৪ বার ডায়রিয়া আক্রান্ত করবে। ফলে কর্মঘণ্টা কমে যাবে। তাই বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।