ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রস্তাবিত বাজেটে ঝুঁকি চারটি ও চ্যালেঞ্জ ছয়টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
প্রস্তাবিত বাজেটে ঝুঁকি চারটি ও চ্যালেঞ্জ ছয়টি ছবি: দীপু / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার দুই কোটি ৯৫ লাখ ১শ’ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চারটি বড় ঝুঁকি ও ছয়টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক।


 
সোমবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এ  মন্তব্য করেন।

চারটি বড় ঝুঁকি: প্রথমত, ইউরোপের মন্দা পরিবেশ এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে, পুনরায় এটি ফিরে আসবে কিনা! যদি ফিরে আসে তবে বাজেট বাস্তবায়নে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
 
দ্বিতীয়ত, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালের শেষের দিকে ও ২০১৫ সালের প্রথম দিকে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ ছিল। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বাজেট বাস্তবায়ন ঝুঁকিতে পড়বে।
 
তৃতীয়ত, পোশাকশিল্পের পরিবেশগত ঝুঁকি এখনও রয়েছে। এটি নিরসন না করলে বাজেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
 
চতুর্থত, বর্তমানে তেলের দাম কমে গেছে এটি আমাদের দেশের জন্য ভালো। কিন্তু এতে করে হঠাৎ করে যদি মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিকের চাহিদা কমে যায় তবে বাজেট বাস্তাবায়নে ঝুঁকি সামলাতে হবে। কারণ, রেমিটেন্স কমে যাবে।
 
প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে ছয়টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, রাজস্ব আহোরণ করা। দ্বিতীয়ত, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি বাড়ানো। তৃতীয়ত, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা। চতুর্থত, ব্যাংক সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করা। পঞ্চমত, সাবসিডিউস ভর্তুকি। ষষ্ঠ, ব্যবসা সংক্রান্ত, অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনা সংস্কার কাযর্ক্রমে গতি আনতে হবে।
 
বাজেট প্রসঙ্গে লিখিত প্রবন্ধে জাহিদ হোসেন বলেন, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময়ের হার ভালো অবস্থায় রয়েছে। তবে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো নেই। বিনিয়োগ পরিবেশের কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে, এটি নিরসন করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক তিন ভাগ। তবে এ হার সাত ভাগে উন্নীত হলে আমরা অবাক হবো না।
 
কালো টাকা প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। সময় আরও বাড়ানো যেত।

এসময় অন্যদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের অ্যাক্টিং কান্ট্রি হেড সালমান জায়েদী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন ই মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
এমআইএস/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।