ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ

ঢাকা: বর্তমানে দেশে মোট গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার। এর মধ্যে ষাঁড় এক কোটি ৯ লাখ ৭৬টি এবং গাভীর সংখ্যা ১ কোটি ৭২ লাখ ১৩ হাজারটি।


 
অন্যদিকে দেশে মোট মহিষের সংখ্যা ৫ লাখ ৫২ হাজার। এর মধ্যে ষাঁড় মহিষ ২ লাখ ৬৭ হাজারটি। দেশে মোট ছাগলের সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ৮৮ হাজারটি। দেশে মোট ভেড়ার সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৫ হাজারটি।

প্রাণিসম্পদ খাত অর্থাৎ গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি এবং চা, রাবারসহ ফলদবৃক্ষের বাগানে বেসরকারি খাতের অবদান জিডিপির ০.৮১ ভাগ এবং মোট বিনিয়োগের ৩.৬৩ ভাগ। এ হিসাব মাংস উৎপাদন  এবং কাঠ জাতীয় বৃক্ষে বেসরকারি বিনিয়োগকে বাদ  দিয়ে করা।
 
মঙ্গলবার(১৬ জুন’২০১৫) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) অডিটরিয়ামে বেসরকারিভাবে চাষকৃত জৈবিক সম্পদ জরিপ- ২০১৪' নামক এক বইয়ের মোড়ক  উন্মোচনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানানো হয়।
 
বিবিএস জানিয়েছে, চাষকৃত জৈবিক সম্পদ এ বেসরকারি খাতের অবদানকে এখন পর্যন্ত জিডিপিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। কিন্তু জাতিসংঘ প্রণীত সিস্টেম অব ন্যাশনাল একাউন্টস ২০০৮ এর ভিত্তিতে জিডিপি প্রণয়ণ করতে হলে চাষকৃত জৈবিক সম্পদ এ বেসরকারি খাতের অবদানসহ বাংলাদেশকে আরো দুটো খাতকে হিসাবের আওতায় আনতে হবে।
 
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়, অনেক সম্পদের হিসাব  জিডিপির বাইরে  থেকে যাচ্ছে। এর মধ্যে  পরিবারভিত্তিক পশুপালন থেকে ৯ হাজার ৫৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, পরিবারভিত্তিক গাছপালা থেকে ১ হাজার ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, খামারভিত্তিক পশু পালন থেকে ২৯৮ কোটি ৮০ লাখ, চা বাগান থেকে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং রাবার বাগান থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
 
খাত দুটো হলো - বিনোদন ও সাক্ষরতা এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার খাত। বিনোদন ও সাক্ষরতা খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত জরিপ কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

অপরদিকে, কম্পিউটার সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত জরিপকাজ আগামীবছর থেকে শুরু হবে।
 
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করতে চায়। এজন্য প্রয়োজনীয় তথ্য যাতে নিয়মিত পাওয়া যায় সে প্রচেষ্টা পরিসংখ্যান ব্যুরো চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য যত দ্রুত সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে।

এখন থেকে শ্রমজরিপ সংক্রান্ত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে দেয়া হবে বলেও সচিব এসময় উল্লেখ করেন।
 
তিনি আরও বলেন, অনেক কষ্ট ও শ্রমঘাম বিসর্জন দিয়ে প্রানিসম্পদের জরিপ করা হয়েছে। এটা জিডিপি নির্ধারণে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমি পালন করবে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সফিকুল ইসলাম,এম এ মান্নান হাওলাদার, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক বাইতুল আমীন ভুঁইয়াসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
এমআইএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।