ঢাকা: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে সিএসই স্টেক হোল্ডারদের বার্ষিক ক্যামেলকো সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুন) চট্টগ্রাম বোট ক্লাব কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি হেড এম মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আমজাদ হোসাইন, সিএসইর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারূফ মতিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিরেক্টর মিজানুর রহমান জোয়াদ্দার।
সিএসইর পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএসই’র চিফ রেগুলেটরি অফিসার আহমাদ দাউদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী অ্যান্টি মানি লন্ডারিং এবং আর্থিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সিএসইর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, যখনই যে ধরনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে সিএসই সবসময়েই তা প্রদান করেছে। চট্টগ্রামে স্টক ব্রোকারদের বিস্তৃতি, মানি লন্ডারিং এবং
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের জন্য এখন সম্ভাবনার এক দ্বার খুলে দিয়েছে এবং এই সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।
বিএসইসির কমিশনার আমজাদ হোসাইন বলেন, এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে সিএসই স্টেক হোল্ডাররা মানি লন্ডারিং সর্ম্পকে আরো যুগোপযোগী তথ্য পাবেন এবং স্পষ্টতই এটি তাদের বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির আইন-কানুন আরো কঠোরভাবে মানতে সহায়তা করবে।
তিনি আরো বলেন, বিএসইসির নজরদারি এখন আগের চেয়ে অনেক কঠোর এবং এই ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম ব্রোকারদের নিয়ন্ত্রক কমিটির কঠোর পর্যবেক্ষণের সাথে নিজেদের মানিয়ে চলতে সহায়তা করবে।
সিএসই’র চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ স্টক মার্কেট মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের ব্যপক আশংকা রয়েছে সুতরায় স্টক ব্রোকারদের অবশ্যই মানি লন্ডারিং এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে তা কি ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে সর্ম্পকে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
মানি লন্ডারিং আরো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার একটি সুষ্ঠু পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে পারে এবং বাজেট ঘাটতি কমাতে পারে।
ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন বলেন, বাস্তবে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়গুলো কিভাবে কাজ করে এই গোপন বিষয়গুলো এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জানতে ট্রেক হোল্ডাররা জানতে পারবে যা তাদের জন্য একটি মজার অভিজ্ঞতা হবে। এই সম্মেলন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ব্রোকারদের অবশ্যই ব্যবসায় আরো স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করবে।
এ সময় মানি লন্ডারিংয়ের নানা দিক নিয়ে সাতটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি এবং সিএসই ট্রেক হোল্ডার বিশেষজ্ঞরা সাতটি আলাদা সেশনে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিএসই স্টেক হোল্ডার এবং সিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
বিজ্ঞপ্তি/এসই/এসআর