ঢাকা: কৃষিক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দকে যথাযথ ব্যবহার, শিক্ষাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে বরাদ্দ রাখা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মতো বাজেট বরাদ্দ রাখা দরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাজেটোত্তর এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনন্ট্যাস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় আইসিএবি’র মেম্বার কাউন্সিল ও সাবেক সভাপতি আব্বাস উদ্দিন খান বলেন, এবার কৃষি খাতে মোটামুটি ভালো বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারি ভর্তুকি দিয়েও কৃষকের কাছে প্রকৃত অর্থ ও সুযোগ-সুবিধা পৌঁছায় না। এক্ষেত্রে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা অবহেলা করে থাকেন।
তিনি বলেন, যদি সঠিকভাবে বাজেটের অর্থ কৃষকদের হাতে না পৌঁছায়, তাহলে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে না, উৎপাদনও বাড়বে না। কৃষকদের জন্য বাজেটসহ সরকারি বিভিন্ন ভর্তুকি যথাযথ বণ্টনের নিশ্চয়তা করতে হবে।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বরাদ্দ রাখা হয় তাও সঠিকভাবে ব্যবহার হয় কি-না দেখার বিষয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে বাজেটে এখাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।
আইসিএবি’র মেম্বার কাউন্সিল ও সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, বিদেশি ফান্ডের মাধ্যমে আমাদের যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তা সঠিকভাবে ও সময়মতো বাস্তবায়ন হয়না। সরকারকে এ বিষয়ে জোরারোপের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে।
আইসিএবি’র আরেক সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, এ বাজেট বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, এবার বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু নেপালে শিক্ষা খাতে ৩ শতাংশ, মালদ্বীপে ৮ শতাংশ ও মালয়েশিয়া ৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়।
এ সময় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আইসিএবি’র সভাপতি মহিস মালিক চৌধুরী বলেন, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকার ভিশন-২০২১ পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি, সম্ভাবনা ও স্বক্ষমতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
গোলটেবিল বৈঠকে সঞ্চলনা করেন আইসিএবি’র মেম্বার কাউন্সিল ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৫
টিএইচ/জেডএস