বরিশাল: রমজানকে সামনে রেখে বরিশালের বাজারগুলোতে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা মূল্য বেড়ে গেছে। আবার কিছু কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বরিশালের বাজারে আদা, পেঁয়াজ, ছোলা, রসুন, আলু, মসুর ডালসহ বেশকিছু পণ্যের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে।
বরিশালের বড় বাজার, নতুন বাজার, পোর্টরোড বাজার, বাংলাবাজার, সাগরদী বাজার, চৌমাথা বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ১২০ টাকা কেজি দরের আদা ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, ধনেপাতা ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
এছাড়াও পেঁয়াজ ২৫-২৬ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা, ৯৫ টাকার রসুন ১০৫ টাকা, আলু ১৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ টাকা, ছোলা ৫৪ টাকা থেকে ৬০ টাকা, মসুরের ডাল ১১০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা, খেসারির ডাল ৪২ টাকা থেকে ৪৭ টাকা, ৬৫ টাকার হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, শুকনো মরিচ ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ডিমও রয়েছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়। বয়লার মুরগির ১০০ ডিমের দাম গত সপ্তাহে ছিলো ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা, যা আজ বিক্রি হচ্ছে ৭৪০ টাকায়, দেশীয় মুরগির ডিম ৮০০ থেকে বেড়ে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল রয়েছে মুড়ি ৮০ টাকা, চিনি ৩৮ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, লিটারজাত সয়াবিন ১০০ টাকা।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের বাজার। দেশি মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৬৫ টাকা, খাসির মাংস ৫০০ টাকা ও গরুর মাংস ৩৫০ টাকা।
তবে ইলিশের দাম অনেক চড়া ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা, ১ কেজির নিচের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ১ কেজি ওজনের বেশি ইলিশ ২ হাজার ২০০ টাকা দড়ে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা তরকারির দাম অধিকাংশই বেড়ে গেছে, বেগুন ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, শসা ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, পটল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, কাকরোল ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, করোল্লা ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা ও পুঁইশাক ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, রোজার শুরুতে এসব পণ্যের মধ্যে অনেক পণ্যেরই সরবরাহ কম রয়েছে, আবার অনেক পণ্যের দাম পাইকারী পর্যায়ে বেড়ে গেছে তাই সবকিছুর দাম একটু চড়া। তবে সপ্তাহ পার হলে আবার অনেক পণ্যেরই দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৫
আরএ/