ঢাকা: পাট পণ্যের তালিকায় পাটখড়ি সংযোজন করে পাট আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আর পাটখড়ি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার।
সোমবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘পাট আইন, ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মূল আইনটি ১৯৬২ সালের জুট অর্ডিন্যান্স, যা পরবর্তীতে ১৯৬৩, ১৯৭৪ এবং ১৯৮৩ সালে সংশোধন করা হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু’টি সামরিক শাসনামলে জারিকৃত প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ আইনে পরিবর্তন করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ আইন উপস্থাপন করে।
অধ্যাদেশ আইনে পরিবর্তন করতে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এ আইনে নতুন সংযোজন হিসেবে ‘পাটখড়ি’র বিষয়টি বলা হয়েছে। পাটখড়ি থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে তথ্য সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণের বিধান রাখা হয়েছে। পাটখড়ি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে সরকার রেগুলেট করতে পারবে।
এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ আইন, ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের (পিও) মাধ্যমে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেস ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার নামে মূল আইন জারি হয়। সামরিক শাসনামলে এ আইনটি ১০ বার সংশোধন করা হয়।
সামরিক শাসনামলের জারিকৃত প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ আইনে পরিবর্তন করতে এ আইন উপস্থাপন করে শিল্প মন্ত্রণালয়।
অধ্যাদেশ থেকে আইনে পরিবর্তন করতে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয়নি, কিছু সংজ্ঞা পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস
** দোষ স্বীকার না করলেও মোবাইল কোর্টে অপরাধীর শাস্তি