দিনাজপুর: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ৭ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৯ কোটি টাকা।
গুদামে ভর্তি থাকা চিনি বিক্রি না হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না মিল কর্তৃপক্ষ। ফলে মিলের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ৭ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় গুদামে পড়ে রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৯ কোটি টাকা। বেসরকারি চিনিকলে উৎপাদিত চিনির চেয়ে সরকারি চিনির মূল্য বেশি। তাই ক্রেতারা সরকারি চিনি ক্রয় করছেনা।
তিনি বলেন, দাম বেশি হলেও বেসরকারি চিনির চেয়েও সরকারি চিনি গুণে ও মানে অনেক উন্নত। বর্তমানে ক্রেতারা উন্নত মানের দিকে দেখছেনা, মূল্যের দিকে দেখছে। তাই সরকারি গুদামে চিনি অবিক্রিত পড়ে রয়েছে।
সরকারি চিনির চাহিদা বর্তমানে বাজারে না থাকায় গুদামে চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এমন মন্তব্য করে ওই ব্যবস্থাপক বলেন, দিন দিন গুদামে চিনির স্তুপ বেড়েই চলেছে। বেশি দিন এই চিনি গুদামে পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চিনি বিক্রি না হওয়ায় সেতাবগঞ্জ চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন পরিশোধ করতে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রয়োজন।
বেসরকারি চিনিকলগুলোর উপর বর্ধিত হারে ভ্যাট, ইত্যাদি আরোপ করে তাদের উৎপাদিত চিনির বাজার দর বাড়াতে পারলে সরকারি চিনিকলগুলোর অচলাবস্থা দুর হতে পারে।
অন্যথায় সরকারি চিনিকলে উৎপাদিত চিনির স্তুপ দিন দিন আরো বেড়ে যাবে। এতে চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিড়ম্বনার শিকার হবেন। তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
এসএইচ