ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও সিএসআর ব্যয়

বিজনেস এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও সিএসআর ব্যয়

ঢাকা: শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সামাজিক দায়বদ্ধ কার্যক্রমের (সিএসআর) অর্ধেক ব্যয়ের নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকরা নীতিমালায় নতুন যোগ হয়েছে তুতীয় লিঙ্গের (রাষ্ট্রস্বীকৃত) জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনে মানোন্নয়নের বিষয়টি। এখন অন্যান্য খাতের মতো এ খাতটিতে সিএসআর অর্থ বরাদ্দ দেওয়া যাবে।



মঙ্গলবার (২৩ জুন’২০১৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন অ্যান্ড সিএসআর বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

একইভাবে আলাদা আরেকটি প্রজ্ঞাপনে শুদ্ধাচার ও দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম  প্রচার বা অন্যকোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সচেতনতামূলক ওই ধরনের প্রচারণায় আর্থিক সহায়তা প্রদান সিএসআর ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোকে শিক্ষা ও কারিগরী প্রশিক্ষণে (সিএসআর)  মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ ব্যয়ের নির্দেশনা দিয়ে নীতিমালা করা হয়।

এছাড়া দ্বিতীয় প্রধান খাত হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবায় ২০ শতাংশ খরচ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বাকি অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত বেশ কিছু খাত উল্লেখ করে সিআরসির অর্থের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  অধ্যয়নরত নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি বা আর্থিক সহায়তা, শহর ও গ্রামাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের উন্নয়নকল্পে নিয়োজিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা হিসেবে প্রদান করতে হবে।

একই ব্যাক্তি, একই সময়ে যাতে একসঙ্গে দুই জায়গা থেকে এ সহায়তা না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ে প্রদত্ত প্রত্যক্ষ আর্থিক সহায়তা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করে এমন হাসপাতাল, রোগ নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনায় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়া গণস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন- বিশুদ্ধ পানি, দরিদ্র ও শহরাঞ্চরের ভ্রাম্যমান জনগনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয়ের নির্দেশ দেয়া হয়।

সিএসআর বাজেটের বাকি অর্ধেক ব্যায়ে খাত হিসাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব পন্য ও জীবনযাত্রার উন্নয়নে গৃহীত কার্যাবলী, সুবিধাবঞ্চিত জনগণের বিনোদনে গৃহীত শিল্প, সাহিত্য সংক্রান্ত, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক কার্যক্রম, জীবন রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সরঞ্জামাদি ও অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগনের ভাগ্যোন্নয়নে আবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা  হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া ওই নির্দেশাবলীতে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে অনুমোদিত বাৎসরিক সিএসআর কর্মসূচি প্রধান কার্যালয়ে গঠিত সিএসআর ইউনিটের মাধ্যমে, বা বৃহত্তর কর্মসূচির ক্ষেত্রে একটি পৃথক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পরিচালিত করার কথা বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।