ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ময়মনসিংহে ইফতার

চাহিদার শীর্ষে ‘টক জিলাপি’

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
চাহিদার শীর্ষে ‘টক জিলাপি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: গরম কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে ডাল-চালের মিশ্রণে তৈরি জিলাপি। এরপর শিরা ভর্তি কড়াইয়ে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

স্বাদে অনন্য এ জিলাপির স্থানীয় নাম ‘টক জিলাপি’। রমজানে ইফতারির মেন্যুতে চাহিদার দিক দিয়ে শীর্ষে আছে এ জিলাপি।

প্রতিদিন ইফতারের আগে নিমিষেই ফুরিয়ে যাচ্ছে জিলাপির ডালা।

ময়মনসিংহ জিলা স্কুল মোড়ের হোটেল মেহেরবানে প্রায় ৩ যুগ ধরে এ জিলাপি তৈরি করে আসছেন জাকির মিয়া (৪২)। ব্যতিক্রমী স্বাদের এ টক-মিষ্টি জিলাপি তিনি তৈরি করেন চাল-ডালের মিশ্রণে।

রোজাদারদের কাছে এ জিলাপি সবচেয়ে জনপ্রিয়। শুধু নামেই না, এ জিলাপির ভিন্নতা রয়েছে আকার ও স্বাদেও। এমনটি মনে করেন জিলাপি কিনতে আসা লোকজনও।

প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই গরম কড়াইয়ে জিলাপি ভাজার কাজ শুরু করেন জাকির মিয়া ও তার কারিগররা। দুপুরের পর থেকেই টেবিলের ডালায় সাজানো হয় থরে থরে জিলাপি। চলে হাক-ডাক, হুল্লোড়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোজাদাররা আসেন এ জিলাপি কিনতে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দু’দশক ধরে ময়মনসিংহ শহরের মানুষের মাঝে জাকির মিয়ার টক জিলাপির চাহিদা বেশ। প্রতি কেজি জিলাপির দাম ১শ’ টাকা।

ক্রেতারা জানান, এ জিলাপির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। অন্য সব জিলাপি থেকে এ জিলাপির স্বাদও আলাদা। মুখে রুচি বাড়াতে টক জিলাপি খেতে খুব মজাদার। ফলে গোটা ময়মনসিংহজুড়ে এ জিলাপির আলাদা নাম-ডাক রয়েছে।

টক জিলাপি তৈরির কারিগর জাকির মিয়া বলেন, জিলাপি তৈরিতে সাধারণত আটা বা ময়দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা এসবের পরিবর্তে চাল ব্যবহার করি। চালের সঙ্গে ডাল মিশিয়ে ভাজার কারণে স্বাদটাও অন্যরকম।

তিনি জানান, সারা বছরই এ জিলাপি বিক্রি করি। তবে রমজানে এর কদর অনেক বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ১শ’ কেজি জিলাপি বিক্রি করছি। ইফতারির আইটেমে এটি এখন ময়মনসিংহের মানুষের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।

জাকির মিয়া জানান, প্রতি বারই জিলাপি ভাজতে তিনি নতুন তেল ব্যবহার করেন। একবার ব্যবহার করা তেল দ্বিতীয়বার ব্যবহার করেন না। মান ভালো থাকার কারণে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন জিলাপি কিনতে আসেন।

ইফতারের মেন্যুতে মজাদার ভিন্ন স্বাদের টক জিলাপি চাই-ই চাই, এমনটি বলেন আবু কায়সার রনি নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, জিলা স্কুল মোড়ের জিলাপি চিবোতে শুরু করলেই পাওয়া যায় মচমচে মুড়ির মতো কুড়মুড়ে শব্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
এএসআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।