ঢাকা: প্রস্তাবিত ১ শতাংশ উৎস কর ধার্য করায় পোশাক খাত হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে বিজিএমইএ কার্যালয়ে ‘প্রাইস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য গ্লোবাল অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি: বাংলাদেশ ইন কম্পারেটিভ পারস্পেকটিভ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, পোশাক খাতে প্রতিযোগী দেশ চীন, ভারত ও ভিয়েতনামের রপ্তানি টার্গেট ডাবল ডিজিট হলেও বাংলাদেশে ৩ শতাংশের কম। এই অবস্থায় উৎসে কর বাড়িয়ে এই খাতকে আরও হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। উৎসে কর থেকে সরকারের ১২০০ কোটি টাকা আয় হবে ঠিকই। কিন্তু ৪৪ লাখ শ্রমিক এবং কারখানার মালিকরা হুমকির মুখে পড়বেন। সেই সাথে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা এ খাতে আগ্রহ হারাবেন।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ পণ্যের মূল্যমান কমেছে। এ অবস্থায় উৎসে কর বৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি।
পোশাক খাতকে বাঁচাতে উৎসে কর পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং বাণিজ্যন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান আতিকুল ইসলাম।
পেন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মার্ক অ্যানার তার গবেষণা প্রতিবেদনে, মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কাপড়ের নিত্য পণ্যের দাম কমে যাওয়া এবং পোশাক উৎপাদনকারী এবং সরবরাহকারী দেশগুলোতেও এর প্রভাব তুলে ধরেন।
তিনি গার্মেন্টস পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত দুর্বলগুলোকে একত্রিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।
একই সাথে ক্রেতাদের আধিপত্য কমাতে নিজ নিজ দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ গবেষণা উপস্থাপনার ওপর আলোচনায় বলেন, ক্রেতাদের আধিপত্য কমাতে তাদের দেশের সরকারকেই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু করার আছে। তাছাড়া পণ্য কিনতে যথাযথ দাম দিতে ক্রেতাদের উৎসাহিত করা দরকার।
বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিপিডি’র অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ বিন মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২৫ জুন ২০১৫ ইং
আইএএ/এমজেএফ