ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সপ্তাহের বাজারদর

দ্বিতীয় দফায় বাড়লো ডাল- আদার দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
দ্বিতীয় দফায় বাড়লো ডাল- আদার দাম ফাইল ফটো

ঢাকা: দ্বিতীয় দফায় বাড়লো ডাল ও আদার দাম। গত সপ্তাহে দাম বেড়ে মান ও দেশভেদে কেজিপ্রতি আদা সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্ব্বোচ্চ ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়।

কিন্তু চলতি সপ্তাহের শেষ দুইদিন ধরে সর্ব্বোচ্চ দাম ১৮৫ টাকায় ঠেকেছে।
 
এছাড়া গত দুই সপ্তাহ আগে ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। মাঝখানে একটু কমলেও আবার চলতি সপ্তাহের গত ৩দিন ধরে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
 
এদিকে চালের বাজার গত দুই মাস হলো স্থির রয়েছে। আর কাঁচাবাজারের দর প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে পাওয়া গেলো এসব তথ্য।
 
রাজধানীর মহাখালী, বনানী, নিউমার্কেট, মিরপুর এক নম্বরসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে পাওয়া তথ্য বাংলানিউজের পাঠকের কাছে ধরা হলো।
 
চালের বাজার: চালের বাজারে কোনো অসন্তোষ পাওয়া গেলো না ক্রেতাদের মাঝ থেকে। কেজিপ্রতি সরু চাল (নাজিরশাইল) ৪৬ থেকে ৫২ টাকা, (মিনিকেট) ৪০ থেকে ৪৬ টাকা, মাঝারি চাল (পারিজা, হাসকি, বিআর-২৮) ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) ৩০ থেকে ৩২ টাকা, সুগন্ধি চাল (কালিজিরা, চিনিগুড়া) ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
আটা ও ময়দার বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায় নি। কেজিপ্রতি আটা (খোলা সাদা) ২৮ থেকে ৩০ টাকা, ময়দা (খোলা ও সাদা) ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, আটা (পলিপ্যাক) ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, ময়দা (পলিপ্যাক) ৪০ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
ডাল ও ছোলার বাজার: গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি মসুরের দেশি উন্নত ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়।
 
দেশি ডাল (সাধারণ) ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা, বিদেশি (সাধারণ ৫ টাকা বেড়েছে) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল (সরু) ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, মোটা ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, ছোলা (বিদেশী আস্ত) ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, খেসারী ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাশ ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
মশলার বাজার: কেজিপ্রতি শুকনামরিচ (দেশি) ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, ভারত ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, হলুদ (দেশি লম্বা) ১৬০ খেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
আদা চায়না ১৩০ থেকে ১৮৫ টাকা, ভারত ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, রসুন দেশি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চায়না ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, পিঁয়াজ দেশি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ভারত ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।  
 
সবজি: কেজিপ্রতি আলু (সাদা) ২০ থেকে ২২ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০ থেকে ২৪ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিংগা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা পেপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুরলতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিংগা ২৫ থেকে ৩২ টাকা, পটল ২০ থেকে ২৮ টাকা, ঢেঁড়স ২০ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, করল্লা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
 
মাংস: কেজিপ্রতি গরুর মাংস ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, খাসীর মাংস ৫১০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি মোরগ/মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, কক ও সোনালী ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, ফার্ম ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
আর ডিম (৪টি) দেশি/সোনালী ৪০ থেকে ৪২ টাকা, ফার্ম (লাল ও সাদা) ২৭ থেকে ২৯ টাকা, হাঁস দেশি ৩০ থেকে ৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
তেলের বাজার: প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) ৭৬ থেকে ৭৯ টাকা, পাম তেল (খোলা) ৫৯ থেকে ৬৪ টাকা, সরিষার তেল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সয়াবিন (৫ লিটার বোতল ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
কেজিপ্রতি চিনি (খোলা) ৩৭ থেকে ৪০ টাকা, গুড় (আখের) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, খেজুর ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছের বাজার: মাছের বাজারেও তেমন কোনো দামের পার্থক্য দেখা যায় নি। মান ও ওজন ভেদে রুই মাছ দেশি (এক থেকে দুই কেজি) ১৯০ থেকে ২৯০ টাকা, কাতল (দেশি) ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, বিদেশি কাতল (দেড় থেকে তিন কেজি) ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, বিদেশি রুই (এক থেকে তিন কেজি) ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, পাংগাস (চাষকৃত) এক থেকে দুই কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, সিলভার ও ব্রিগেড (এক থেকে তিন কেজি) ১৩০ থেকে ১৯০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ (চাষকৃত) এক থেকে দুই কেজি ১৬০ খেকে ১৯০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৫৫ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
একে/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।