ঢাকা: বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিমামা) সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমএমইএবি)।
শুক্রবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত বুধবার (২৪ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিমামা নতুন বাজেটে সিকেডি মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার চায়।
এছাড়া সংগঠনটি সিকেডি যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণের এ দাবি জানায়। তারা রংবিহীন যন্ত্রপাতি আমদানির বাধ্যবাধকতাও তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
তাদের এসব দাবির ব্যাপারে এমএমইএবি জানায়, বিমামার উত্থাপিত বিষয়সমূহ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যাতে করে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল শিল্প দেশের স্বার্থ ও প্রকৃত বিনিয়োগ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
তাদের দাবি, সংবাদ সম্মেলনে বিমামার সংগঠনটির নামেই বিভ্রান্তি লক্ষ্যণীয়। তাদের নামে এমেম্বলার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স উভয়ই উল্লেখ আছে। প্রকৃতপক্ষে এ দুটি সম্পূর্ণ পৃথক কার্যক্রম; এবং জানামতে এই সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত কোন মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী (ম্যানুফ্যাকচারার্স) সদস্য নেই।
প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, উপস্থাপিত তথ্য বিশ্লেষণে আমদানিকারকদের বাজার ৯০% এবং বাৎসরিক গড় বাজার কমপক্ষে ২ লাখ মোটরসাইকেল বলা হলেও বিগত ০৫ বছরের পরিসংখ্যানে স্থানীয় মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীরা ২৫% বাজার অর্জন করেছে এবং গড় মোটরসাইকেল বাজার ২ লক্ষ ৫০ হতে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার।
প্রতিবাদে আরো বলা হয়, ১০০% সম্পূর্ণ তৈরি যন্ত্রাংশ আমদানি নির্ভর সংযোজন খাত কিভাবে শিল্প (তাদের ভাষায়) হিসাবে উপস্থাপিত হয় এবং এর বিপরীতে শতভাগ দেশীয় বিপুল বিনিয়োগের শ্রমঘন শিল্প কারখানার সাথে তুলনীয় হয় তা প্রশ্নের দাবি রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
কেএইচ