ঢাকা: চলতি (২০১৫-১৬) অর্থবছরে জুয়েলারি শিল্প রক্ষার স্বার্থে সর্বোচ্চ ১.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জুয়েলারি ব্যবসার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৭ জুন) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ দাবি মানা না হলে একদিনের জন্য দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসা বন্ধ রাখা হবে। এরপরেও দাবি আদায় না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা বন্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জুয়েলারি ব্যবসায়ে ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করায় এ শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রয়োজনে দেশের বেশিরভাগ মানুষই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ১ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার কিনে আনেন। গত ৩০ বছরের মধ্যে আমাদের বিক্রি সবচেয়ে কমে এসে বিক্রির পরিমাণ ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। এর ফলে সরকারেরও রাজস্ব আদায় কমে গেছে।
৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ জুয়েলারি ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই এতো বেশি পরিমাণ ভ্যাট নেই। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে কোনো ভ্যাটই নেই।
ঐতিহ্যবাহী এই জুয়েলারি শিল্পকে রক্ষার স্বার্থে ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার দাবি জানান এনামুল হক খান।
এর ফলে প্রকৃতপক্ষে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি এবং ডিলিং লাইসেন্স নবায়ন ফি পূর্বাবস্থায় বহাল রাখার দাবিও জানান এনামুল হক খান।
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্বর্ণ গ্রহণ করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেকোনো ব্যক্তি বিদেশ থেকে ১০০ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ আনতে পারেন। এভাবে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ভরি স্বর্ণ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্বর্ণ আমদানির কোনো ব্যবস্থা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি বাদল চন্দ্র রায়, গঙ্গাচরণ মালাকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৫
এসজেএ/এএসআর