ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভাগ্য ভাসছে বর্ষায়!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
ভাগ্য ভাসছে বর্ষায়! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: দরোজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর। সবার এখন ত‍াই ফুরসতহীন ব্যস্ততা।

পিছিয়ে নেই ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ীরাও। রমজানের শুরু থেকেই তারা ব্যস্ত ভীষণ। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় মন ভারি সবার।

এবার তাদের বিকিকিনির হাটে নিত্য বিড়ম্বনার নাম হয়ে উঠেছে বর্ষা। কখনও থেমে থেমে, আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও তাই স্বস্তি পাচ্ছে না ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। এখন বর্ষার খেয়ালেই ঝুলছে তাদের এ মৌসুমের ব্যবসা ভাগ্য।

শনিবার (২৭জুন) বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঈদকে সামনে রেখে ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বর্ষা নিয়ে হা-পিত্তেশই  শোনা যায়।

শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের পাশে বগুড়া শহর ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী হকার্স সমিতির অধীনে গড়ে ওঠা ফুটপাতে কাপড় ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ, ওমর ফারুক, হোসেন আলী, জামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে সাধারণত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ ঈদের কেনাকাটা করে থাকেন।
প্রতিবছর রমজানের প্রথম থেকেই কিছু কিছু করে বেচাকেনা শুরু হয়। আর ১০ রোজার পর পুরোদমে তাদের দোকানগুলোতে বেচাকেনা চলতে থাকে।

কিন্তু এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। বৃষ্টির কারণে মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তাই ফুটপাত ব্যবসায়ীরা রকমারি ঈদ আইটেম দিয়ে দোকান সাজিয়ে ক্রেতা আসার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।

ফুটপাতে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকানি আব্দুল হান্নান, মফিজ উদ্দিন, শামীম বাংলানিউজকে জানান, তারা প্রতিবারই ঈদকে সামনে রেখে সামান্য পুঁজি নিয়ে ভ্যানে করে কাপড় ব্যবসায় নামেন। বড়-ছোটদের গেঞ্জি, শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের বিভিন্ন আইটেম তারা বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু বর্ষা তাদের ব্যবসা যেন কেড়ে নিতে বসেছে।

এসব ব্যবসায়ী জানান, ফুটপাতের দোকানগুলোতে রকমারি থ্রি-পিস, জরি ও সুতার নকশার বাহারি শাড়ি, জর্জেট শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফুল ও হাফহাতা শার্ট, ছেলেদের জিন্সপ্যান্ট পাওয়া যায়। ফুটপাতের এসব আইটেম নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের ভরসা। তবে উচ্চ বিত্তের পরিবারের লোকজনকেও হর হামেশাই ফুটপাত থেকে এসব পণ্য কিনতে দেখা যায়।

এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্ত্রীকে নিয়ে ফুটপাতের বাজারে ঘুরতে আসা শাহিন আলম বাংলানিউজকে বলেন,  সামান্য কিছু কেনাকাটার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু বিগত বছরের চেয়ে জিনিসপত্রের দাম এবার একটু বেশি।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, সব কিছুর বাজার উর্ধ্বমুখী। ফলে তাদেরও পাইকারি বাজার থেকে জিনিসপত্র অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু সব কিছুর দম হাতের নাগালেই রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
এমবিএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।