ঢাকা: সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি করপোরেট শাখার ৯ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তলবি নোটিসে তাদেরকে আগামি ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ৯ জুলাই দুপুর দেড়টার মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তলবি নোটিশ পাঠিয়েছেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান ও দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী।
যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তারা হলেন- লালদিঘি ময়দান করপোরেট শাখায় তৎকালীন দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সালেহউদ্দিন, এসও জিনাত রেহেনা, মাহবুবুল হক, মাশুক আলী, সুভাষ কুমার চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা মং হলা চিং, সিনিয়র নির্বাহী অফিসার নূরুল আলম, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রনজিত কুমার দাশ এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক এসএম বেলায়েত হোসেন।
ব্যাংকটির ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, সোনালি ব্যাংকের ৯টি শাখায় ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসে বিষয়টির অনুসন্ধান শুরু হলে এখন পর্যন্ত ৮টি শাখার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ছিলো চট্টগ্রাম লালদিঘি ময়দান করপোরেট শাখা।
সূত্র মতে, সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা, বৈদেশিক (রফতানি) করপোরেট শাখা, গুলশান শাখা,বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ করপোরেট শাখা, আগারগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিস, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা, লালদীঘি করপোরেট অফিস এবং নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখায় পৃথকভাবে ৭ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ হয়।
২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই ৯টি শাখায় পরিচালিত ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরিদর্শন ও তদন্ত প্রতিবেদন থেকে অর্থ আত্মসাতের তথ্য বেরিয়ে আসে। দুদক ব্যাংকটির ৯ শাখার ওপর অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় এর আগে দুদক টিম ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালদিঘি ময়দান করপোরেট শাখার ইন্সপেকশন সেল এবং এডি ব্রাঞ্চের ইন্সপেকশন অ্যান্ড মনিটরিং ডিভিশন পরিচালিত সব পরিদর্শন প্রতিবেদনের কপি সংগ্রহ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
এডিএ/বিএস