ঢাকা: আসন্ন ঈদের বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে মালিক-শ্রমিক পক্ষ। শ্রমিকরা দাবি করছেন ২০ রোজার মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের পোশাক শিল্পের অবস্থা খুব একটা ভালো না। অর্ডার আগের থেকে অনেক কমেছে। এই মুহূর্তে হুট করে ২০ রোজার মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি করলেই তো হবে না। ২০ রোজার মধ্যে সব মালিকের পক্ষে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।
২২ রোজার (১০ জুলাই) মধ্যে বেতন ও ২৭ রোজার ( ১৫ জুলাই) মধ্যে বোনাস পরিশোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজীম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘পোশাক শিল্পের ব্যবসা অন্য যে কোনো ব্যবসা থেকে আলাদা। ক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহের পরেই কেবল তারা বিল পরিশোধ করবেন। সেই টাকা থেকেই তো বেতন-বোনাস দিতে হবে। হুট করে বললেই তো আর সব পরিশোধ করা যাবে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ১০ জুলাই মানে ২২ রোজার মধ্যে সব কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করবেন। আর ২৭ রোজার অর্থাৎ ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বোনাসের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
কিন্তু মালিকদের এ সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা মানবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘একজন শ্রমিক বেতন বোনাস পেয়ে পরিবার পরিজনের জন্য কেনাকাটা করবেন। অন্যদিকে বাসা ভাড়াসহ সব ধরনের খরচাদি পরিশোধ করতে হয় আগেভাগেই। কিন্তু মালিকরা যদি বোনাস ২৭ রোজায় দিতে চান তাহলে তারা ঈদে পরিবার পরিজনের জন্য কেনাকাটাই করবে কবে আর গ্রামে স্বজনদের কাছে যাবেনই বা কিভাবে!
২২ রোজার মধ্যে বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্তও শ্রমিকরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রয়োজনে শ্রমিকরা খুব শিগগিরই শ্রম মন্ত্রণালয়ে ২০ রোজার মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধের দাবিতে সরকার বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।
প্রসঙ্গত, রোজার শুরু থেকেই বেতন-বোনাস ২০ রোজার মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শ্রমিকরা । এ দাবিতে ২৯ জুন বিজিএমইএ ভবনের সামনে মানববন্ধনও করেছেন পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৫
জেএম/এটি