ঢাকা: দুর্যোগ মোকাবেলা ও ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রতি ডলার ৮০ টাকা হারে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে শেরে বাংলানগর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পৃথক দুই প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন সই করেন। আর বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের অপারেশন অ্যাডভাইজার ক্রিস্টিয়ান ই কিমস।
প্রকল্প দুটি হচ্ছে-ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট (এফএসএসপি) এবং বাংলাদেশ আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্ট (ইউআরএফ)।
ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ( ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) এবং বাংলাদেশ আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্টে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার (১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা) দেবে বিশ্বব্যাংক।
ফিন্যান্সিয়াল সার্পোট সেক্টর প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের উন্নয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ মূলক সক্ষমতা বাড়ানো এবং বেসরকারি খাতের ঋণের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের রফতানি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণ, আর্থিক খাতের সুপারভিশন ও রেগুলেশন ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে।
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাকি ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে বাংলাদেশ আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং সিলেট শহরের দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চারটি ধাপে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় জাতীয় পর্যায়ে একটি ডিজেস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার এবং ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট রিসার্স অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প দুটিতে বিতরণ করা টাকার ওপর বিশ্বব্যাংককে বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। এ ঋণের অর্থ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৫
এমআইএস/এমএ