ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঋণ পুনর্গঠনের ১৩ আবেদন

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৫
ঋণ পুনর্গঠনের ১৩ আবেদন

ঢাকা: ঋণ পুনর্গঠনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ জুন) পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১৩টি আবেদন জমা পড়েছে। সাতটি শিল্পগ্রুপের পক্ষে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে এসব আবেদন এসেছে।



প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বেক্সিমকো, যমুনা, থার্মেক্স, শিকদার গ্রুপ, আবদুল মোনেম লিমিটেড, রতনপুর গ্রুপ ও কেয়া গ্রুপ। ব্যাংক ও গ্রাহকভেদে এসব ঋণ পুনর্গঠন প্রস্তাবে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ। বর্তমানে সুদহার আছে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত।

এদের মধ্যে বেক্সিমকো, যমুনা ও থার্মেক্স গ্রুপের ঋণ পুনর্গঠন প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠিত কমিটির কাছে পৌঁছেছে। আবদুল মোনেম গ্রুপের পক্ষে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও রতনপুর গ্রুপের পক্ষে জনতা ব্যাংক ঋণ পুনর্গঠনের জন্য আবেদন করলেও তা ৫শ’ কোটি টাকার কম হওয়ায় কমিটির কাছে পাঠায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বেক্সিমকো গ্রুপ ৭টি ব্যাংকের কাছে মোট ৫ হাজার ২শ’ ৬৯ কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন করেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ১ হাজার ৮শ’ ৪৯ কোটি, সোনালী ব্যাংকের ৯শ’ ৮২ কোটি এবং ন্যাশনাল ও এবি ব্যাংকের ৬শ’ কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে সোমবার (২৯ জুন) জমা হয়। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের ৭শ’ ৭৫ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ৬শ’ ৪ কোটি ও এক্সিম ব্যাংকের ৪শ’ কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠনের প্রস্তাব মঙ্গলবার বিকেলে জমা পড়ার কথা।  

থার্মেক্স গ্রুপের পক্ষে জনতা ব্যাংক ৬শ’ ৬৬ কোটি টাকার ঋণ ১২ বছর মেয়াদে ১০ শতাংশ সুদে পুনর্গঠনের আবেদন করেছে। যমুনা গ্রুপের পক্ষে আবেদন জমা দিয়েছে জনতা, ইউসিবিএল, ডাচ বাংলা ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

চার ব্যাংকে গ্রুপটির সম্মিলিত ঋণ পাঁচশ’ কোটি টাকার বেশি হওয়ায় তা পাঠানো হয়েছে কমিটির কাছে। যমুনা গ্রুপের মেয়াদি ঋণ ১২ বছরের জন্য ও চলতি মূলধনী ঋণ ৬ বছরের জন্য পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে হ্রাসকৃত সুদহার, পরিশোধের সময় বাড়ানো, কম ডাউন পেমেন্টসহ বড় ঋণ পরিশোধে ছাড় পাবেন এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫শ’ কোটি টাকার বেশি ঋণ আছে এমন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ পুনর্গঠনের একটি নীতিমালাও করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে মেয়াদী ঋণ ১২ বছর ও চলতি ঋণ ৬ বছরের জন্য শর্তসাপেক্ষে পুনর্গঠন করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও গঠিত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে পর্যন্ত কয়েকটি গ্রুপের আবেদন জমা পড়েছে। যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৫
এসই/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।