ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩ অর্থবছর পর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল এনবিআর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৫
৩ অর্থবছর পর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল এনবিআর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তিন অর্থবছর পর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে  লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১২ হাজার ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ অর্থবছর সংশোধিত রাজস্ব লক্ষমাত্রা ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকার বিপরীতে ৩০ জুন, ২০১৫ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২শ’ ৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।


 
বুধবার সন্ধ্যায় (০১ জুলাই) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
 
এর আগে ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ অর্থবছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি রাষ্ট্রীয় কর আদায়কারী সংস্থাটি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
 
তিনি বলেন, আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৪৯ হাজার ২শ’ ৬৪ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৩শ’ ৯৩ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১শ’ ২৯ কোটি টাকা বেশি।
 
মূসক (ভ্যাট) খাতে ৪৮ হাজার ২শ’ ৬৪ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৮ হাজার ৬শ’ ৩৮ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩শ’ ৭৪ কোটি ১ লাখ টাকা বেশি।
 
আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ৩৭ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৮ হাজার ২শ’ ৩৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭শ’ ৩৫ কোটি টাকা বেশি।
 
সঠিক পরিকল্পনা ও মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানান মো. নজিবুর রহমান।
 
তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় আর চ্যালেঞ্জ থাকলেও সুশাসন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও টিমওয়ার্কের ফলে লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব অর্জিত হয়েছে।
 
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩শ’ ৭০ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
 
তিনি বলেন, এনবিআর’র সক্ষমতা, জনবল, সাংগঠনিক সামর্থ্য বেড়েছে। রাজস্ব আদায়ের বেশকিছু সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। হয়রানি কমে যাওয়ায় করদাতারা এনবিআর’র প্রতি আস্থা রাখছেন।

রাজস্ব আদায়ে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়টি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
 
তিনি বলেন, উৎস কর আদায়ে একটি করাঞ্চল গঠন ও করদাতা বৃদ্ধিতে সারাদেশে জরিপ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এ থেকে নতুন করদাতা বেরিয়ে আসবে।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সমুদ্র বিজয়ের ব্লু  ইকোনোমির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রণোদনা দেওয়ার ফলে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্র তৈরি হবে। শুল্ক ও মূসক অনলাইন পদ্ধতিতে হলে রাজস্ব দিতে করদাতারা উৎসাহিত হবেন।

পানগাঁও বন্দরের কার্যক্রম শুরু করে গতিশীল ও সক্রিয় করা হলে রাজস্ব আয়ের আরও একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে বলেও জানান তিনি।
 
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বেসরকারি কয়েকটি সংগঠনের সমালোচনার জবাবে মো. নজিবুর রহমান বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিস্ময় নয়, বাস্তব। তারা অনুমানভিত্তিক বা কোনো কোনো পরিস্থিতির আলোকে এসব বলেছে। তাদের হাতে প্রকৃত তথ্য ছিল না, যা এনবিআর’র হাতে রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৫, আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা
আরইউ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।