ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১০ জুলাইয়ের মধ্যে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৫
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ফাইল ফটো

ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকসহ সব শিল্প কারখানার শ্রমিকদের আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে জুন মাসের বেতন ও ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে উৎসবভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে গার্মেন্টস মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


 
তবে বৈঠকে ঈদের ছুটির কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।   বলা হয়েছে, পোশাক সংগঠনগুলো আলোচনা করে পৃথক পৃথক সময়ে এই ছুটি ঘোষণা করবেন। একদিনে যাতে সব পোশাক কারখানা ছুটি না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখতেও বলা হয়।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত শ্রমখাত সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে গঠিত ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকেদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জুন মাসের বেতন আগামী ১০ জুলাই এবং উৎসব ভাতা ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালিক পক্ষকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে বেতন ও উৎসবভাতা দেওয়ার জন্য।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ঈদের ছুটি একদিনে না দিয়ে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
 
প্রমিমন্ত্রী বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এমপ্লয়্যার্স ফেডারেশন সরকারকে বিমুখ করবে না। অনেকে ১৪ জুলাইয়ের আগেই বেতন-বোনাস দিয়ে দেবেন। শেষ দিন হচ্ছে ১৪ জুলাই। আমি আশা করি, এর মধ্যেই সবাই বেতন-বোনাস দিয়ে দেবেন।

সভার সিদ্ধান্তে সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা একমত পোষণ করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

মুজিবুল হক বলেন, বিজেএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ আলাদা আলাদা তারিখে ঈদের ছুটি দেবে। তারা এমনভাবে ছুটি দেবে, যাতে ঈদের ৪-৫ দিনে আগে সব শ্রমিক নিরাপদে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেন।

সবাইকে একসঙ্গে ছুটি না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হবে।

ঈদের আগে শিল্পখাতের ঝুঁকির  বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব কারখানা মনিটরিং করছি। পোশাক খাতে ৪ হাজারের মতো ছোট-বড় কারখানা আছে। সেখানে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। তবে কমপ্ল্যায়েন্সের বিষয় আছে, আমরা মনিটর করছি।

বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ নেতারা, পোশাক শ্রমিক নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৫, আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা
এসএমএ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।