ঢাকা: এবার সিআরটি (ক্যাথড রে টিউব) টিভির সমান দামে এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়ড) টিভি বিক্রি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের ১৯ ইঞ্চি এলইডি টিভি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৩,৯০০ টাকায়।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ওভারহেড কস্ট কমে যাওয়া, উৎপাদনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি এবং দেশে তৈরি হওয়ায় ওয়ালটন টেলিভিশনের দাম বহুলাংশে কম। এর সুফল যাতে দেশের সব ক্রেতা ভোগ করতে পারেন সেজন্যই ওয়ালটনের এ উদ্যোগ।
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, তারা এলইডি টিভির দাম আরও কমানোর চেষ্টা করছেন। নিজস্ব কারখানায় প্যানেল উৎপাদনের মাধ্যমে দাম কমানোর এ প্রচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে প্যানেল প্রোডাকশনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওয়ালটন এলইডি টিভির দাম অবিশ্বাস্যরকম কমিয়ে আনতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী।
বিশ্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে এসব টিভি উৎপাদন হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। ১৯ ইঞ্চি এলইডি টিভি ১৩,৯০০ টাকা ও ২৪ ইঞ্চি এলইডি ১৯,৯০০ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ওয়ালটন মাত্র ৩৫,৯০০ টাকায় ইন্টারনেটভিত্তিক স্মার্ট টিভি নিয়ে এসেছে।
বর্তমানে দেশে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের ঘরে বিনোদনের প্রধান মাধ্যম টেলিভিশন। সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ চলে গেছে গ্রামে গ্রামে। যার ফলে বেড়েছে টেলিভিশনের ব্যবহার এবং চাহিদা। অন্যদিকে মানগত পরিবর্তন এসেছে টিভির ক্ষেত্রে। সিআরটি টিভির পরিবর্তে ঘরে ঘরে জায়গা করে নিচ্ছে এলসিডি এবং এলইডি টিভি। এখন যুগ এলসিডি এবং এলইডি টিভিরই।
ওয়ালটনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন জানান, ওয়ালটনের এলইডি টিভির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লেটেস্ট আইপিএস (ইন প্ল্যান্ট সুইচিং) টেকনোলজির ব্যবহার। ফলে দর্শকরা ১৭০-১৭৮ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেল থেকেও একদম নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি দেখতে পাবেন।
এ ছাড়া ডাইনামিক নোয়েস রিডাকশন, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, ডিএলইডি এবং ইএলইডি ব্যাক লাইট, উন্নত প্রযুক্তির মাদারবোর্ড এবং মোশন পিকচার ব্যবহারের ফলে ওয়ালটন ব্রান্ডের এলইডি টিভি অন্যান্য ব্রান্ডের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
এ প্রসঙ্গে প্রকৌশলী নাহিদ বলেন, আমরা উৎপাদিত টেলিভিশনের মানের ক্ষেত্রে সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে থাকি। মানের ক্ষেত্রে কোনো কমপ্রোমাইস করা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
আইএ