ঢাকা: ব্যাংকের শাখা সমুহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে বিভিন্ন সময়ে জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জনপূর্বক সমন্বিত আকারে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
রোববার(৫ জুলাই’২০১৫) ব্যাংক প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সার্কুলার জারি করে। যা একইদিন দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমুহের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মহা ব্যবস্থাপক চৌধুরী মো. ফিরোজ বিন আলমের সই করা সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক স্থাপনার অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাংক শাখার প্রবেশ পথ, শাখার ভেতরে, বাইরের চারদিকে এবং সকল ধরনের আইটি রুমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা/স্পাই ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে যেগুলো ব্যাংকের সেন্ট্রাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সিসিটিভিগুলো যেন সার্বক্ষণিক সচল থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, সিসিটিভি অপারেশনের জন্য অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করতে হবে। অ্যাকসেস অথরাইজেশন কোনোভাবেই ডেলিগেট করা যাবেনা। নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সমমানের অথবা তদুর্ধ্ব পদের কর্মকর্তাকে অ্যাকসেস কন্ট্রোলের দায়িত্ব দিতে হবে।
ব্যাংক স্থাপনায় ধারণকৃত সকল সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ ধারণের সময় হতে ন্যুনতম এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।
একইভাবে ব্যাংকের সকল শাখায় পর্যায়ক্রমে এন্টি থেফট এলার্ম স্থাপন করতে হবে।
ব্যাংকের ভল্ট ব্যবস্থার নিরাপত্তা বিষয়ে বলা হয়, ১) রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকসমুহ তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভল্ট রুমের ব্যবস্থাপনা তাদের কাছে পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
অন্যান্য ব্যাংকসমুহ তাদের ভল্ট স্পেস বিশেষভাবে সুরক্ষিত করবে। মেঝে ও ছাদসহ ভল্টের চারপাশের নির্মিত দেয়ালের অবকাঠামোগত নিরাপত্তার বিষয়টি পুর প্রকৌশলী কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে।
২) ভল্টে সিকিউরিটি অ্যালার্মের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভল্টের সিকিউরিটি সিস্টেমের সাথে ব্যাংকের সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সিস্টেমের নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভল্টের ভেতরে অটোমেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্থাপন করতে হবে।
পাশাপাশি ভল্টে সীমাতিরিক্ত নগদ অর্থ যেন সংরক্ষণ করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংককে তাদের ভল্টে রক্ষিত অর্থের ওপর অনাকাঙ্খিত ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আলাদা তহবিল গঠন করতে হবে এবং অন্যান্য ব্যাংককে তাদের ভল্টে রক্ষিত সকল অর্থের পূর্ণ বীমা আচ্ছাদন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ব্যাংকের নিরাপত্তাপ্রহরী নিয়োগের আগে তার/তাদের বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নিরাপত্তার জন্য অধিক সংখ্যক সশস্ত্র নিরাপত্তাপ্রহরী নিয়োজিত করতে হবে।
একইভাবে ব্যাংক স্থাপনায় চুরি, ডাকাতিসহ যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা ও প্রতিরোধের জন্য ত্বরিৎ পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি ব্যাংক শাখায় অটো এলার্ম সিস্টেম চালু করতে হবে। উক্ত সিস্টেমসে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, নিকটবর্তী থানা ও ৠাব অফিসসহ অন্যান্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নম্বরে(হটলাইন) সংযোগ থাকতে হবে।
ব্যাংক শাখার চারপাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এবং ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষ হবার পর রাত্রিকালীন সময়ে আকস্মিকভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাংক শাখা পরিদর্শন করবেন বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৫/আপডেটেড-১৭৫৫ ঘণ্টা।
এনএস/