ঢাকা: ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের দীর্ঘদিনের দাবি ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক সংখ্যা বা ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। তাদের এ দাবি পূরণ না হলেও ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে ঋণে সুদের হার।
চলতি বছরের মে মাসে সুদহার কমে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা তার আগের মাসেও ছিল ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আর সুদের হার কমে যাওয়ায় ব্যাংকের আমানত ও ঋণে সুদের হারের ব্যবধানও (স্প্রেড) কমে গেছে। এ বিষয়ে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না করলেও সুদের হার কমিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ব্যবধান তুলনামূলক কম হলেও বেসরকারি এবং দেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংকগুলোতে কমেনি। যদিও এ হার ৫ শতাংশ পয়েন্টের নিচে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত মে মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ সুদ। এতে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশীয় পয়েন্ট।
বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড সবচেয়ে কম মাত্র এক দশমিক ৫১ শতাংশীয় পয়েন্ট। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ সুদ। এ খাতের ব্যাংকগুলোর ঋণের ক্ষেত্রে ভারিত গড় সুদ হার ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যবধান এখনও ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। বিদেশি ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ সুদ দিয়ে ঋণের বিপরীত আদায় করছে ১১ দশমিক ১২ শতাংশ সুদ। এ খাতের ব্যাংকগুলোর ব্যবধান সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৯১ শতাংশীয় পয়েন্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, স্প্রেড কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তাই স্প্রেড আগের চেয়ে কমেছে, আরও কমবে।
‘আর স্প্রেড কমে এলেই ঋণে সুদের হারও কমে যাবে। কেননা আমানতের বিপরীতের সুদ আর গড়ে ২ শতাংশ কমিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৫
এসই/এমএ