ঢাকা: অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে ১১টি কৌশল নির্ধারণ করেছে সরকারের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি। এ বিষয়ে একটি বইও প্রকাশ করা হয়েছে।
বইটিতে (২০১৫-২০১৭) দুই বছরের জন্য একটি বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই বইটি প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে এ কাজ করতে সম্মতি দিয়েছে দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস অব বাংলাদেশ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, দূর্নীতি দমন কমিশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
যে ১১টি কৌশল নিয়ে আগামী দুইবছর অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে কাজ করা হবে, সেগুলো হচ্ছে-
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি নির্ধারণ প্রক্রিয়া হালনাগাদ করা এবং রিপোর্টিং এজেন্সিগুলোতে মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভিত্তিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা; দুর্নীতিলব্ধ সম্পদের অর্থপাচার প্রতিহত করা; সীমান্ত সুরক্ষা পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে সোনা, মাদক-মানবপাচার ও অন্যান্য সংঘবদ্ধ অপরাধ ও তার অর্থায়ন প্রতিহত করা; অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধে করা; কর ফাঁকি রোধ করা; কর আদায়ের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে অর্থপাচার নিরুৎসাহিত করা; নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে করার জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্টস ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে এনজিওর মতো নতুন রিপোর্টিং এজেন্সির পরিপালন ব্যবস্থা উন্নত করা; অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক তদন্ত ও বিচারকার্যের দক্ষতা বৃদ্ধি করা; নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা; স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
এ সব কৌশলের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, তার উল্লেখ করা হয়েছে কৌশলপত্রের বইটিতে।
এজন্য ১৩৮টি পদক্ষেপ রয়েছে। এসব কার্য সম্পাদন করতে কোন সংস্থার কী দায়িত্ব তা নির্ধারণ, আইন, সময়সীমা ও অর্থের সংস্থান উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ জুলাই) দুপুরে মানি-লন্ডারিং ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে-২০১৫-১৬ সালের জন্য প্রণীত কৌশলপত্র ‘প্রিভেন্টিং মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমরেটিং ফিন্যান্সিং অব টেরোরিজম’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থ-মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. আসলাম আলমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
এসই/এবি