ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই মূল্যস্ফীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৫
বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই মূল্যস্ফীতি ফাইল ফটো

ঢাকা: বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই মূল্যস্ফীতির হার সরকার বেধে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ওই সময় বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬.৫০ শতাংশ। এতে সরকার বাজেটের মধ্যে ম্যূস্ফীতির হার সরকার বেধে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) শেরে বাংলা নগর অর্থমন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এদিকে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

অন্যদকি মাসওয়ারী জুন মাসের মূল্যস্ফীতি থেকে দেখা গেছে, খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমকি ৩২ শতাংশ। মে মাসে  তা ছিলো ৬ দশমকি ২৩ শতাংশ।

বিবিএস এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, জুন মাসে মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুধ জাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বেড়েছে।   যে কারণে খাদ্য পণ্যে মে মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধমূখী হয়েছে।

অপরদিকে, জুন মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। মে মাসে তা ছিলো ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ হিসাব পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে করা।

মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, জুন মাসে প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, অ‍াসবাবপত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা নিম্নমূখী  হয়েছে।

এদিকে, জুনে গ্রামের ক্ষেত্রে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৫ দশমকি ৯০ শতাংশ। খাদ্য খাতে এ হার ৫ দশমকি ৭৬ শতাংশ এবং খাদ্য বর্হিভূত খাতে ৬ দশমকি ১৬
শতাংশ।

অপরদিকে, একই সময়ে শহরের ক্ষেত্রে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৬ দশমকি ৯১ শতাংশ। খাদ্য খাতে এ হার ৭ দশমকি ৬৪ শতাংশ এবং খাদ্য বর্হিভূত খাতে ৬ দশমকি ১৪ শতাংশ।

এছাড়া এ বছরের মে ও জুন মাসে জাতীয় মজুরি হার যথাক্রমে ৯ দশমকি ৪৪ ও ৯ দশমকি ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পণ্যের দাম কম ছিল। বিদেশ থেকে তেল, চিনি, ডালসহ অন্য খাদ্যদ্রব্য কম দামে আমদানি করেছি। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে ১ ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ১৪৭ ডলার,  বর্তমানে এই তেল ৪৮ থেকে ৪৯ ডলারে আমদানি করেছি। যে কারণে বাজেটে বেধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। ’

অন্যদিকে মাসওয়ারী খাদ্যে ঊর্ধ্বমূখী মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘রমজানের কারনে এ মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য একটু বেড়েছে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫/আপডেট ২০২৩ ঘণ্টা
এমআইএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।