ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাসহ গ্রেফতার ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৫
সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাসহ গ্রেফতার ৫

ঢাকা: অজ্ঞানপার্টির ওষুধ সরবরাহের অভিযোগে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল বাশারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।



গ্রেফতারকৃত অজ্ঞান পার্টির অন্য সদস্যরা হলেন আব্দুল মতিন, সেলিম, শিমুল ও আবুল হোসেন।

তিনি বলেন, আবুল বাশার সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ক্যাশিয়ার। গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার (৮ জুলাই) সকালে মতিঝিলের কালভার্ট এলাকা থেকে আবুল বাশার ছাড়াও অজ্ঞান পার্টির আরও চার সদস্যকে গ্রেফতার করে।

মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল বাশার স্বীকার করেছেন যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞান করার আমদানি নিষিদ্ধ ‘এটিভান ট্যাবলেট’ বিভিন্ন অজ্ঞান পার্টির কাছে সরবরাহ করে আসছেন।

পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধির কারণে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা রাজধানীতে সক্রিয় হতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৪ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অজ্ঞানপার্টি চক্রের অন্তত ২০/২৫ জন বাশারের কাছ থেকেই অজ্ঞান করার ওষুধ ক্রয় করতেন বলেও জানান এ যুগ্ম কমিশনার।

মতিঝিলের কালভার্ট রোডে আবুল বাশারের গাউছিয়া ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাশার সোনালী ব্যাংকে চাকরি করার পাশাপাশি ওষুধের ব্যবসা করতেন। এ ব্যবসার আড়ালে তিনি আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ এনে অজ্ঞান পার্টির কাছে সরবরাহ করতেন।

এসব ওষুধ বিক্রির কৌশল সম্পর্কে মনিরুল বলেন, তিনি ম‍ূলত মোবাইলে ওষুধ বিক্রি করতেন। এই ওষুধ তিনি ফার্মেসিতে রাখতেন না। মোবাইলে যোগাযোগ হলে চাহিদা মতো তিনি পার্টির কাছে সরবরাহ করতেন।

আমদানি নিষিদ্ধ এসব ট্যাবলেট পাশের দেশ ভারত ও পাকিস্তানে তৈরি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, নিষিদ্ধ এটিভানের অধিকাংশই পাকিস্তান থেকে আসে। তবে এখন ভারত থেকেও এসব ওষুধ আসছে।

আবুল বাশার সীমান্ত এলাকা থেকে অজ্ঞান করার ওষুধ সরবরাহ করতেন জানিয়ে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ওষুধ সংগ্রহ করার পর শুধু রাজধানী নয়, বিভিন্ন জেলাতে এসব ওষুধ তিনি সরবরাহ করতেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইন‍ানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৫
এনএ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।