ঢাকা: সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে উত্তরা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকেও।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা হলেন, সোনালী ব্যাংক লালদিঘী ময়দান করপোরেট শাখার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মং হলা চিং, সিনিয়র নির্বাহী অফিসার নূরুল আলম, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রনজিত কুমার দাশ এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক এসএম বেলায়েত হোসেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় ৯টি শাখায় ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে অনিয়মের মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠনের চিত্র উঠে আসে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদেশিক বাণিজ্যের নামে ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে গুরুতর অনিয়ম করা হয়েছে। কখনও ডিমান্ড লোন ও ফোর্সড লোন সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ লুট করা হয়েছে। গতবছরের আগস্টে দুদক এ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে।
এদিকে, ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার পুনঃতদন্তে একইদিন উত্তরা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। তারা হলেন, নারায়ণগঞ্জ শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান এবং সেকেন্ড অফিসার নিজামউদ্দিন। দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান সকাল ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
২০১৪ সালের ১৬ মে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা হয়। অপর আসামি শাখাটির ক্যাশ ইন-চার্জ মো. মোক্তার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তিনি দুদকে হাজির হননি। এর আগে মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২’র সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫
এডিএ/আইএ
** ঢাকার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ দশজনকে তলব