খুলনা: মার্কেটের সামনের সড়কে দামি সব গাড়ি। কিছুক্ষণ আগে এসব গাড়িতে এসেছেন সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর ও কয়েকজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার।
গরিবের বাজারে এসব ধনী ব্যক্তির আসা দেখে দিনমজুর রবিউল বলেই ফেললেন, যেখান থেকে আমাদের মতো গরিব মানুষেরা সস্তায় ঈদের কেনাকাটা করতাম, সেখানে এখন বড়লোকেরা হানা দিয়েছে।
ধনীরা হানা দেওয়ায় এ মার্কেটের জামা কাপড়ের দামও বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে রেলওয়ে মার্কেটের প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়ে তিনি জানাচ্ছিলেন তার অভিযোগ।
রেলওয়ে মার্কেটের নিউ পাঞ্জাবি হাউজের বিক্রেতা আল-আমীন বাংলানিউজকে বলেন, এক সময় গরিবেরা এ মার্কেটে কেনাকাটা করতো। এখন আর এ মার্কেট গরিবের মার্কেট নেই। উচ্চবিত্তরাও এ খানের নিয়মিত ক্রেতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি জানান, কয়েক বছর আগেও এ মার্কেটে ৫-৭শ টাকার বেশি দামি পাঞ্জাবি রাখা হতো না। এখন সেখানে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার পাঞ্জাবি পাওয়া যায়।
আল-মামুন নামের এক ঠিকাদার বলেন, এখানে তুলনামূলক কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায়। তাই অধিকাংশ সময় এখান থেকে কিনি। এ মার্কেটকে এখন আর ছোট করে দেখার কিছুই নেই।
মাসুম গার্মেন্টেসের মালিক মাসুম জানান, দাম কম হওয়ায় এখানে অনেকে কেনাকাট করতে আসেন। বড় মার্কেটের মতোই এখানে ভালো মানের জামা কম দামে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, কী নেই এখানে? শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ, থ্রি-পিস, গেঞ্জি, পাজামা-পাঞ্জাবি, টুপি, আতর সবকিছুই রয়েছে এ মার্কেটে। দামও নাগালের মধ্যে। যে কারণে ধনীরাও একটু সাশ্রয়ের জন্য এ গরিবের মার্কেটে আসছেন।
রেলওয়ে মার্কেটের সামনের সড়কগুলোর দোকান ও ফুটপাতে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত অনেককে কেনাকাটা করতে দেখা গেলো। নানা ধরনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
মেসার্স তকদির স্টোরের সত্ত্বাধিকারী নূরুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, কাড়ি কাড়ি (বেশি বেশি) টাকা না থাকা লোকগুলো সাধারণ রেলওয়ে মার্কেটে আসতেন। কিন্তু এখন একটু সাশ্রয়ের জন্য আলো ঝলমলে বিপণিবিতানে যারা যেতেন তারাও আসেন।
তিনি জানান, রেলওয়ে মার্কেট ও তার আশপাশে কম দামে ভালো পণ্য কেনা সম্ভব। যে কারণে দিন দিন এখানে সব শ্রেণীর মানুষ আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৫
এমআরএম/এএ