ঢাকা: রাজধানী ঢাকার বুকে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ শপিং প্লেস হিসেবে খ্যাত ‘বসুন্ধরা সিটি’। ঈদ উপলক্ষে বৃহৎ এই মার্কেটটিতে সন্তোষজনক কেনা-বেচা চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বসুন্ধরা সিটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরা। রয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কয়েকটি ভাগে বিভক্ত টিম। আরো রয়েছে জালনোট শনাক্তের জন্য পুলিশের পরিচালনায় বুথ।
২ হাজার ৩শ’ ২৫টিরও বেশি দোকানের এই মার্কেটটিতে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান-পাট। ঈদ ছাড়াও বিশেষ দিনগুলোকে কেন্দ্র করে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লেগেই থাকে বসুন্ধরা সিটিতে।
ঈদে কেনা-বেচা সম্পর্কে সিটি’র ইনফিনিটি মেগা মল শো’রুমের ম্যানেজার ওবায়দুল আনোয়ার খান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতাদের উপস্থিতি ততোই বাড়ছে। তবে সাম্প্রতিককালে শেষ হওয়া দেশের অসুস্থ রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। কারণ, ক্রেতাদের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবী। কিন্তু তখনকার রাজনৈতিক হরতাল-নাশকতা দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এই অর্থনৈতিক পঙ্গুত্ব থেকে উঠে দাঁড়াতে আরো সময় লাগবে। এ কারণে ক্রেতাদের যথাযথ উপস্থিতি থাকলেও প্রত্যাশিত বিক্রয় লেভেলে পৌঁছাতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশিই বিক্রি হচ্ছে।
বসুন্ধরা সিটি’র এপেক্স জুতার শো-রুমের ম্যানেজার মোহাম্মদ বাদল বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য ঈদের তুলনায় এবারের ঈদে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের নয় মাসে যে পরিমাণ বিক্রি হয় ঈদের সময়ে একমাসে একই পরিমাণ বিক্রি হয়।
বসুন্ধরা সিটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন’র ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ৩টি শিফট করে আমরা দায়িত্ব পালন করি। প্রতি শিফটে ৩০ জন সদস্য দায়িত্বে থাকেন। এ মার্কেটের ৪টি ফটকেই আমরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দায়িত্বে রয়েছে দু’টি টিম। একটি সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে। অন্যটি জালনোট শনাক্তের জন্য।
জাল নোট শনাক্তের দায়িত্বে থাকা ডিএমপি’র পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) থেকে আসা এএসআই ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, রমজানের শুরু থেকেই আমরা দায়িত্ব পালন করছি। তবে কোনো জালনোট এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি।
দায়িত্বে থাকা পুলিশের নারী কনস্টেবল শাপলা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত তারা জাল টাকা শনাক্তের জন্য মূল ফটকের সামনে বুথ খুলে বসে থাকেন।
ঈদে শপিং করতে আসা আরিফুল হক নামের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপদে শপিং করতে হলে অবশ্যই নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে। সেই হিসেবে এখানে পারিপার্শ্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। এতে আমরা নিরাপদ বোধ করি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৫
এনএইচএফ/এএসআর