ঢাকা: ঈদের শেষ মুহুর্তের বিকিকিনিতে ব্যস্ত রাজধানীর মৌচাক মার্কেট। সকাল থেকে এ মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পযন্ত মৌচাক মার্কেটে সরেজমিনে দেখা গেছে, নারী ও তরুণী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। এ মার্কেটের কসমেটিক্স, তৈরি পোশাক, সেলোয়ার-কামিজ, থানকাপড়, জুতা, শাড়ি ও শিশুদের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানেই ক্রেতাদের কেনাকাটায় ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া এ মার্কেটে ঘরের বিভিন্ন সাজ-সজ্জার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানপাটেও ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিড় করতে দেখা যায়।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদের আর মাত্র দুই বা একদিন বাকি আছে। আজ-কালের মধ্যে ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে হবে। তা না হলে সময় থাকছে না। শেষ দিকের কেনাকাটায়ও জিনিসপত্রের দামে কোনো কম পাওয়া যাচ্ছে না বলে ক্রেতারা মন্তব্য করেছেন।
বিক্রেতাদের দাবি, এমনিতে ঈদের আগে কয়েক দিন আবহাওয়া খারাপ ছিল। ওই সময়ে আশানুরুপ ক্রেতা আসতে পারেননি। ঈদের শেষ দিকে বেচা-বিক্রিতে দরকষাকষি করার সময়ে নেই। তাই অল্প মুনাফাতেই বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
জেনিফার কসমেটিকসের বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের ক্রেতাদের ভিড় আছে, যে কারণে বিক্রিও বেশি। যে কারণে দর কষাকষি করার সময় নেই। অধিকাংশ পণ্যের গায়েই মূল্য থাকে, সেই অনুসারে বিক্রি হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই।
মৌচাক মার্কেটের দোতলায় ক্যামেলিয়া শাড়ি বিতানের বিক্রিতা ফজলুর জানান, তাদের দোকানের শাড়িগুলো বিভিন্ন কারুকাজ করা। পুতি, অ্যামব্রয়ডারি ও হাতের কাজের কারণে শাড়ির দামও বেশি। আড়াই হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা দামের শাড়ি রয়েছে জানিয়ে তিনি শাড়ি বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ মার্কেটের জুতার দোকান আমির’স এর ম্যানেজার বলেন, মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের জুতার বিক্রিই বেশি। দামে তুলনামূলকভাবে কম ও ভালো মানের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা রাখা হয় বলে ক্রেতারাও এ দোকানে ভিড় করে থাকেন বলে তিনি মনে করেন।
ঈদের কেনাকাটা শেষে মার্কেট থেকে বের হওয়ার সময় মগবাজারের বাসিন্দা গৃহিনী শিউলী মাজেদ বলেন, মৌচাক মার্কেটে প্রতি ঈদেই কেনাকাটা করা হয়ে থাকে। জিনিসপত্রের দামে গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশি বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
টিএইচ/এএসআর