ঢাকা: ঈদের আমেজ শেষ না হতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও এক দফা বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা হারে।
বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির জন্য পণ্য পরিবহণে সমস্যা হওয়ায় দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৭ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা, রসুন ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা, হলুদ ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০- ২০০ টাকা, শুঁকনো মরিচ ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, ডাল মসুরি দেশি ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা, বুটের ডাল ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, আদা ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ডিমের দাম ডজন প্রতি ৫- ১০ টাকা বেড়ে গেছে। বাজার ভেদে ডিম (ফার্ম) ডজন ৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০০- ১০৫ টাকা, দেশি মুরগীর ডিম ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা।
তবে দাম কমেছে কাঁচামরিচের। কাঁচামরিচ ১০০- ১২০ টাকা থেকে কমে ৬০- ৮০ টাকা ও ধনেপাতা ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টিতে মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। বড় ইলিশের জোড়া এক হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১৫০০ টাকা এবং ‘বড়-ছোট’ রুই, কাতল, তেলাপিয়া, চিংড়ির দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
মাছের দামবৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে বিক্রেতা মো. ফারুক বাংলানিউজকে বলেন,বৃষ্টি থাকায় ও নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মাছ ধরা যাচ্ছে না বিধায় একটু বেশি দাম। বৃষ্টি কমলে মাছের দাম কমবে।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৬০ টাকা থেকে কমে ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগির দাম ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ও মোরগের দামও ২০-৪০ টাকা প্রতি পিছে বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার ভেদে গরুর মাংস ৩৬০-৩৮০ টাকা ও খাসির মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
‘বাজারে ক্রেতা কম আসায় মুরগির দাম সামান্য বেশি রাখা হচ্ছে’ দাবি করলেন মুরগি বিক্রেতা হোসেন।
তবে রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দামে তেমন পরিবর্তন নেই। লাউ (এক পিছ) ৩০- ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (এক পিছ) ৩০- ৪০ টাকা, চাল কুমরা (জালি) ৩৫-৪০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা,আলু ২২- ২৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিনি ৩৫-৩৮ টাকা, আটা দুই কেজি প্যাকেট ৬৫ টাকা ও ময়দা ৭৮ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮০ টাকা ও সরিষার তেল ১২০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৭০ টাকা, নাজির শাইল চাল ৪৮ টাকা, পারিজা ৩৬ টাকা, মিনিকেট ৪৫ টাকা, লতা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বৃষ্টি লাগাতার থাকলে চাল, চিনি ও আটার দাম বৃদ্ধি পাবে এমনটা ধারণা কারওয়ান বাজারের বিক্রেতাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
এফবি/আরআই