ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাঁচাবাজারে এখনো ঈদের রেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৫
কাঁচাবাজারে এখনো ঈদের রেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদুল ফিতর শেষ হলেও কাটেনি তার রেশ। ঈদের প্রভাব রাজধানীর কাঁচাবাজারে।

ঈদ শেষে ইতোমধ্যে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ত মানুষ। সরকারি আধাসরকারি অফিস খোলা হয়েছে সোমবার থেকেই। তবে এখনো রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো জমে উঠেনি।

রাজধানীর কৃষি মার্কেট, কাওরানবাজার, মিরপুর-১ কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানই বন্ধ, দুই একজন খুললেও ক্রেতা নেই।

কাওরানবাজারে মাছ বিক্রিতা আলী আজগর বাংলানিউজকে বলেন, “মাছের যোগান কম, মাছ নাই বললেই চলে, ভারত থেকে কিছু কার্প জাতীয় মাছ আসছে বলেই বাজার মোটামুটি স্বাভাবিক। আমদানি কম হওয়ায় দাম একটু বেশিই পরছে। ”

তিনি বলেন, মাছ এনেই কি করবো। বাজার কাস্টমার নাই। ঈদের আগে যেভাবে কাস্টমার ছিলো এখন সেই রকম নাই। আরো দুই একদিন এরকমই যাবে। এরপর আগামী সপ্তাহ থেকে সব কিছুর চাহিদাও বাড়বে মালও আসবে বেশি বেশি। এক কথা এখনো বাজার জমেনি।

কাওরান বাজারে প্রতি কেজি রুই (বড়) সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রুই (ছোট) ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাতলা (বড়) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। টেংরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, চিংড়ি (বড়) ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা মাছ (বড়) প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বর্ষা মৌসুম হলেও জাতীয় মাছ ইলিশের দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরেই। কাওরান বাজারে এক হালি (৪টা) ইলিশ প্রতিটি ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ টাকা ৪০০০ টাকায়।

এদিকে মাংসের বাজার এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে গরু প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা হতে ৩৮০ টাকা। খাসি প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা হতে ৬০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা হতে ১৬০ টাকা।
 
কৃষি মার্কেটের মাংস বিক্রেতা চাঁদ আলী বাংলানিউজকে জানান, ঈদের পর কাল (সোমবার) প্রথম দোকান খোলা হয়। তবে এখনো সেভাবে কাস্টমার আসেনি। ঈদ ছাড়াও নরমাল দিনে দুইটা গরু শেষ হয়ে যায়। আজ একটা গরু জবাই দিয়েছি তারপরেও অর্ধেক বিক্রি করতে পারি নাই। শবে কদরের দিন গরু বিক্রি করছি ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা। এখনো ৩৬০ টাকায় দিছি তাও কাস্টমার নাই।

তিনি বলেন, এ সপ্তাহ এমনই যাবে। আগামী সপ্তাহে দেশ গ্রাম থেকে লোকজন আসলে আবার জমে উঠবে বাজার। তাই এখন গরুও কম জবাই করতাছি।   

তেল-চালের দাম আগের মতই রয়েছে। প্রতি কেজি মিনিকেট মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে। নাজির ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পাইজাম ৩৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত তেলের দাম দীর্ঘ দিন ধরেই অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি ৫ লিটার তীর বিক্রি হচ্ছে ৪৭৫ টাকা দরে। রুপচাঁদা ২ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯৬ টাকায়।

কাঁচা সবজির মধ্যে রমজান মাসের চাইতে বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। রমজান মাসে যেখানে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। সেই একই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হতে ৪০ টাকা দরে। এছাড়া কাঁচা মরিচের ঝালও কমেছে কিছুটা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা হতে ৮০ টাকায়। তবে পেয়াজের ঝাঁজ কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা হতে ৫০ টাকা দরে। পটল ৩০ টাকা হতে ৪০ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা হতে ৪০ টাকা, আলু এক পাল্লা (৫ কেজি) ১১০ টাকা হতে ১২৫ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৫
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।