ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোন্দকার মো. ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার(২৩ জুলাই’২০১৫) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বাংলনিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকটি বিভিন্ন শাখায় ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রয়োজনে বর্তমান এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে এদিন তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি।
দুদক সূত্র জানায়, মাত্র দুই বছরে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের তিনটি শাখা থেকে চার হাজার ২৪৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই ঋণের বড় অংশই দেওয়া হয়েছে কোনো নিয়মকানুন না মেনে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে বেসিক ব্যাংক।
শাখাগুলোর মধ্যে গুলশান শাখার দেওয়া ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৮০০ কোটি ২৩ লাখ টাকা, শান্তিনগর শাখা এক হাজার ৫২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং দিলকুশা শাখা দিয়েছে ৯২৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
এই তিন শাখায় অতি দ্রুততার সঙ্গে ঋণ ছাড় করা হয়েছে। ঋণের বিপরীতে কোনো উল্লেখযোগ্য জামানতও রাখেনি কর্তৃপক্ষ। বরং তালিকার বাইরের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এসব জামানতের অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যাতে বেশি করে ঋণ পাওয়া যায়।
ব্যবস্থা নিতে এই তিন শাখার নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিস্তারিত প্রতিবেদন ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ব্যাংকটির ওপর বিস্তারিত পরিদর্শন চালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ এবং পরে অর্থ আদায়ে উদাসীনতার কারণে ব্যাংকের প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সরাসরি বেসিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত। আবার এসব ঋণ নিয়ে তার সদ্ব্যবহার করেনি বলেও প্রমাণ পেয়েছে পরিদর্শক দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৫
এডিএ/এনএস