ঢাকা: এখন থেকে তদন্তের জন্য আদালতের আদেশ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) কোনো ধরনের তথ্য না দিতে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (০২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত এ সার্কুলার জারি করেছে।
তফসিলি ব্যাংকের পাশাপাশি কার্যরত ৩১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছেও এ সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের কিংবা আসামির হিসাব সংক্রান্ত তথ্য সরবারহ সংক্রান্ত বিষয়ে দুদক ২০০৯ সালের ২৩ জুন একটি আদেশ জারি করে।
দুদকের ওই আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে সুষ্ঠু অনুসন্ধান এবং মামলা তদন্তের স্বার্থে দুদক আইন, ২০০৪-এর ১৯(১)(ঘ) ধারার ক্ষমতাবলে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয়/বাণিজিক ব্যাংক থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে থাকে দুদক।
প্রকৃতপক্ষে, ব্যাংকার্স বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট (বিবিইএ), ১৮৯১-এর ৫ ও ৬(১) ধারা এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি), ১৮৯৮-এর ৯৪(১) ধারা অনুযায়ী আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া আমানতকারী/হিসাবধারীর হিসাব সংক্রান্ত তথ্য অন্য কোন পক্ষকে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে আদালত বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কার্যবিধি অনুসারে তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে সমন ও আদেশের লিখিত সময় ও স্থানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দলিলপত্র নিয়ে হাজির হতে আদেশ দিতে পারেন।
কিন্তু এই সংক্রান্ত তথ্য যদি কোন ব্যাংক বা ব্যাংকারের হেফাজতে থাকে তাহলে দায়রা জজের লিখিতভাবে পূর্বানুমতি নিয়ে দণ্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪০৮ ও ৪০৯ ধারা এবং ৪২১ হতে ৪২৪ ধারা এবং ৪৬৫ হতে ৪৭৭-ক ধারা অনুযায়ী অপরাধের তদন্তের জন্য তথ্য দিতে আদেশ দিতে পারবেন।
অন্যান্য ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের লিখিত পূর্বানুমতি লাগবে। এই নিয়ম অনুসরণ না করে দুদক কোন তথ্য চাইতে পারে না, চাইলেও কোন তথ্য দেওয়া যাবে না।
তাই অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান কিংবা মামলার তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বা আসামির ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য/কাগজপত্র ব্যাংক থেকে সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের যেন কোন রূপ ব্যতয় না ঘটে সে বিষয়ে যত্নবান থাকতে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ওই সার্কুলারে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৫
এসই/এমএ