ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকার ৯ প্রকল্পের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৫
৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকার ৯ প্রকল্পের অনুমোদন ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল ২ হাজার ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩২ কোটি ১৩ লাখ এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৯৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

 

মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলনে কক্ষে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ‘অগমেন্টেশন অব গ্যাস প্রোডাকশন আন্ডার ফাস্ট ট্র্যাক প্রোগ্রাম (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।

জীবন-মান উন্নয়নে ‘সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার জন্য বেলারুশ থেকে মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ’ শীর্ষক একটি  প্রকল্পও সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ৪২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকল্প ব্যয়ের ৮৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবে সরকার এবং সহায়তা হিসেবে ৩৩১‍.৪৯ কোটি টাকা দেবে বেলারুশ সরকার।   

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিউশন সেন্টার নির্মাণ’ নামে আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি টাকা। ’

২০১৮ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা আর চীন সরকার অনুদান দেবে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩২ কোটি ১৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

এছাড়া ‘পীরগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ বিষয়েও একটি প্রকল্প অনুমোদন পায় একনেক সভায়। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

‘জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় বস্ত্র পরিদফতর ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।

১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে দেশের ৭টি বিভাগের ৪৫টি জেলার ৩৬২টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।    

এছাড়া সভায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর, আবেদের ঘাট ও ইসলামপুর এলাকায় পদ্মানদীর ডান তীর সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকারের অর্থায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

মৎস্য চাষের উন্নয়নে ‘বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় মৎস্য উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। ২১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এর বাস্তবায়ন করবে পানি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মৎস্য অধিদফতর।

প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার ৯টি উপজেলাতেও মৎস্য উৎপাদন বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। চলতি বছরের জুন থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৫, আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা
এমআইএস/বিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।