ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এলাকাভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা কাজে লাগানো হচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এলাকাভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা কাজে লাগানো হচ্ছে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছে।  
 
বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের চলমান এ ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার এলাকাভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা কাজে লাগানোর নীতি গ্রহণ করেছে।
 
শনিবার দুপুর ২টার দিকে ‘বরিশাল বিভাগের শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক সম্ভবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  
 
তিনি আরো বলেন, শিল্প সম্ভাবনা কাজে লাগানোর নীতির আলোকে সরকার ভোলায় একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের লক্ষে কাজ করছে। এছাড়া, ২২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্পও বাস্তবায়িত হচ্ছে।  
 
ইতোমধ্যে পটুয়াখালীতে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দক্ষিণাঞ্চলে অত্যাধুনিক জাহাজ নির্মাণ ও শিপ রিসাইক্লিং শিল্প জোন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বরিশাল অঞ্চলে কৃষি ও শিল্পখাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। এ অঞ্চলে বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, দেশের যে এলাকায় যে ধরনের শিল্প স্থাপনের উপযোগী কাঁচামাল রয়েছে সে এলাকায় সে ধরনের শিল্প স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। এতে করে দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণ সঞ্চারিত হবে। তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন জোরদার হবে।  
 
মন্ত্রী আরো বলেন, বরিশাল অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য আমি উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিল্পায়নের লক্ষ অর্জন সম্ভব। এখানে নদী পথে সহজে পণ্য পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। পদ্মা সেতু আর পায়রা বন্দর বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চল হবে দেশে প্রধান শিল্পায়ন এলাকা।  
 
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জার্মান ভিত্তিক সংগঠন এফএনএফ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন- এফবিসিসিআই এর সভাপতি আবদুল মাতলুব।
 
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ। এছাড়া, এফবিসিসিআই এর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ফেডরিক নুওম্যান ফাউন্ডেশনের (এফএনএফ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী, বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
 
কর্মশালায় বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতারা ছাড়াও ঝালকাঠী, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা ও ভোলা চেম্বার অব কমার্সের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
এ সময় উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে বরিশালে এলসি স্টেশন নির্মাণ, সহজশর্তে ও কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, বরিশালে বিশেষ শিল্পপার্ক স্থাপন করা, বরিশাল জেলাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা, পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপনের কাজ ত্বরান্বিত করা, লেবুখালি সেতুর কাজ শুরু করা, ভোলা থেকে গ্যাস সরবরাহ করা, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা মার্কেটপ্লেস, গার্মেন্টস শিল্প স্থাপনের দাবি তুলে ধরেন তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।