ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টাঙ্গাইলে কোটি টাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

সুমন কুমার রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫
টাঙ্গাইলে কোটি টাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টাঙ্গাইল: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যাংক কয়েন না নেওয়ায় কোটি কোটি টাকার ধাতব কয়েন নিয়ে বিপাকে রয়েছেন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।

জেলার কোনো ব্যাংক কয়েন না নেওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।

এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা কয়েনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে জমা থাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংক এ কয়েনগুলো নিলে তারা অনেকটাই লাভবান হতেন।

টাঙ্গাইলের কেমিকেল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান মতি বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে দুই লাখ টাকার কয়েন রয়েছে। কোনো ব্যাংক এগুলো না নেওয়ায় যাও লাভ হচ্ছে, পড়ে থাকা কয়েনের কারণে এখনো লোকসানে রয়েছি।

শহরের ছয়আনি বাজারের মুদি ব্যবসায়ী গোবিন্দ চন্দ্র ভৌমিক জানান, ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে একশ বা দুইশ টাকার কয়েন না নিলে কেউ মালামাল নিতে চায় না। এজন্য বাধ্য হয়েই কয়েনগুলো নেন তিনি। কিন্তু এভাবে নিতে নিতে তার কাছে ১০ লাখ টাকার কয়েন জমা হয়ে আছে। এগুলো কোনো ব্যাংক নিচ্ছে না। এখন এই ১০ লাখ টাকার কয়েন তিনি কি করবেন বুঝতে পারছেন না।

নাগরপুরের ধলেশ্বরী ব্রেডের মালিক মোবারক হোসেন জানান, বিভিন্ন মুদি দোকানে রুটি দিলেই তারা দুই থেকে তিনশ টাকার কয়েন দেয়। না নিলে পণ্য রাখবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য বাধ্য হয়ে তাদের কয়েন নিতে হয়। এভাবে তার কাছে আড়াই লাখ টাকার কয়েন জমা পড়ে আছে। ব্যাংক এগুলো না নেওয়ায় তা এখন বলতে গেলে অচল।

বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে পাঁচআনি বাজার ও ছয়আনি বাজার ঘুরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে আরও জানা গেল, বাজারের প্রায় সব ব্যবসায়ীর কাছেই দুই থেকে ১০ লাখ টাকার কয়েন জমা রয়েছে। স্থানীয় ব্যাংক এ কয়েন না নেওয়ায় চরম হতাশ তারা।

কয়েনগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে ব্যবসায়ীদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের কাছে দাবি জানান এসব ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জীবন কৃষ্ণ ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ শুধু কয়েনগুলো বিতরণ করার। কিন্তু কয়েন গ্রহণের কোনো নির্দেশ না থাকায় তা নিতে পারছি না।

যদি বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েন নিতে নির্দেশ দেয় তবে অবশ্যই আমরা তা নেব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।