ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানি যোগ্যতা যাচাইয়ের আগে এলসি নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫
আমদানি যোগ্যতা যাচাইয়ের আগে এলসি নয়

ঢাকা: খালাস পর্যায়ে এসে পণ্য আটকে যাওয়া ও নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টির কারণে ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে অর্থায়ন করে আটকে যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংকের লগ্নি করা টাকা।

এ ধরনের জটিলতা এড়াতে আইন অনুযায়ী পণ্যের আমদানি যোগ্যতা যাচাই করে এলসি খোলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।



মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরইমধ্যে নির্দেশনাটি বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

আদেশে বলা হয়, নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় খালাস পর্যায়ে এসে বিভিন্ন সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জটিলতা নিরসনে ঋণপত্র খোলার আগেই বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ/বিধি/এসআরও এর শর্তাবলী পালন করতে হবে। ‍যাতে আমদানি যোগ্যতা নিশ্চিত হয়।

ঋণপত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকারের আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের পাঠানো স্মারকের প্রতিলিপি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইন অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিছু কিছু পণ্যের আমদানি হয় অনেক নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে।

কিন্তু বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক এসব নিষিদ্ধ পণ্যের আমদানির জন্য এলসি খুলছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব পণ্যের খালাস পর্যায়ে গিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এমনকি সরকারি বাহিনী নিষিদ্ধ পণ্য আটকও করছে।

এতে ওই সব নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অর্থায়ন করে বিপাকে পড়ছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর গাফিলতির কারণে নিজের অর্থই আটকে যাচ্ছে।

তাই অনুমোদিত পণ্য আমদানিতে অর্থায়ন না করা এবং এলসি খোলার আগে পণ্যের আমদানি যোগ্যতা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানায় আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তর।

এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চলতি বছরের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে পাঠানো হয়। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ আদেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।