ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজে ক্রেতা আকর্ষণ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজে ক্রেতা আকর্ষণ বেশি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য এবার ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে ডিপ ফ্রিজ ও বড় ডিপের সাধারণ ফ্রিজ। বাংলাদেশে উৎপাদনকারী ব্র্যান্ড ওয়ালটনেরই রয়েছে বড় ডিপযুক্ত সাধারণ ফ্রিজ।

ফলে ফ্রিজের বাজারের বিশাল অংশ এখন ওয়ালটনের দখলে।

জানা গেছে, সাশ্রয়ী মূল্য, রঙের বৈচিত্র্য, ডিজাইন ও মডেল এবং সারাদেশে বিস্তৃত আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকদের কাছে ওয়ালটনের কদর বেশি। এছাড়া ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি, কম্প্রেসারে ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধাসহ তিন বছরের সহজ কিস্তিতে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ।

ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে ন্যানো পার্টিকেলযুক্ত উন্নত প্রযুক্তি। এতে কোনো ক্ষতিকর সিএফসি বা এইচসিএফসি গ্যাস নেই। রয়েছে ৮০ শতাংশ বিদ্যুত সাশ্রয়ী এলইডি বাল্ব। শতভাগ কপার কন্ডেন্সার ব্যবহারের ফলে ফ্রিজ হয় দীর্ঘস্থায়ী ও বিদ্যুত সাশ্রয়ী।

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনার কয়েকটি শোরুমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ কাছাকাছি আসায় বেড়েছে ফ্রিজের চাহিদা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের বিক্রি বেড়ে যায়।
 
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের মানুষের ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রায় সবাই পছন্দ করছেন বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজ। আমদানি করা ফ্রিজে ডিপ খুবই ছোট। কিন্তু বাংলাদেশে প্রস্তুত ওয়ালটন ফ্রিজের ডিপ অনেক বড়। ফলে গ্রাহকদের আলাদাভাবে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ কেনার দরকার হয় না।

ওয়ালটনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার আবু রাফা মো. নাঈম জানান, ডিপ ফ্রিজ এবং সাধারণ ফ্রস্ট ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে আশাতীতভাবে।

খুলনা অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদই ফ্রিজ বিক্রির প্রধান সময়। এবার ঈদ নিয়ে ওয়ালটনের আগাম প্রস্তুতি ছিল। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে ১৯২ লিটারের নতুন মডেলটি।  

দেশের প্রধান ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর আবাবিল ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজার রাজু আহম্মেদ জানান, স্টেডিয়াম পাড়ায় ঈদের আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ রীতিমতো হটকেকে পরিণত হয়েছে। ক্রেতারা অন্যান্য ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরলেও কেনার সময় ওয়ালটনই কিনছেন।
 
ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আর্র্দ্রতা বেশি। ফলে খাবার টাটকা রাখতে ডিপ ফ্রিজের প্রয়োজনও বেশি। খাদ্যমান বজায় রাখার জন্য স্থানীয়ভাবে ডাইরেক্ট কুলিংয়ের ফ্রিজই বেশি উপযোগী। ফলে ডিপ অংশ বড় রেখে ডাইরেক্ট কুলিং বা ফ্রস্ট ফ্রিজ তৈরি ও বিপণনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২৯১৫
পিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।