ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোরিয়ান সানক্রুজের আদলে শাহ মেরিনের ক্যাম্পাস

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
কোরিয়ান সানক্রুজের আদলে শাহ মেরিনের ক্যাম্পাস

ঢাকা: জাহাজের নকশায় তৈরি বিশ্বের প্রথম রিসোর্ট কোরিয়ান সানক্রুজ। তারই আদলে বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউটের মূল ক্যাম্পাস।



রাজধানীর অদূরেই সাভারের হেমায়েতপুরে বংশী নদীর তীরে সাততলা বিশিষ্ট এই ক্যাম্পাসের কাজ চলছে। দুই মাসের মধ্যেই ভবনের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এম আই চৌধুরী।

ভবনটির নকশা সম্পর্কে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে ভ্রমণ পিয়াসুদের কাছে কোরিয়ান রিসোর্ট সানক্রুজ এর নাম উল্লেখযোগ্য। তাই আমরা ভেবেছি তার একটু স্বাদ আমাদের ছাত্রদের দিতে পারি কিনা। সানক্রুজের নকশা অনুসরণ করে তৈরি হচ্ছে শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস।

তিন একর জায়গার ওপর গড়ে উঠছে ক্যাম্পাসটি। অবকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বংশী নদীর পাড়েই অবস্থিত হওয়ায় নদী পথ ও সড়ক পথে প্রবেশ করা যাবে এই ক্যাম্পাসে। ৫০০ ছাত্রের উপযোগী করে আবাসিক হোস্টেল তৈরিও প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

মূল ভবন ছাড়াও কম্পাসে রয়েছে আরো তিনটি ভবন। রয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার। তিন তলা বিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টারে মোট ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে পারবেন। নিরাপত্তা ইস্যুতে ক্যাস্পাসটির নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্স রাখা হচ্ছে।

ভবনটির মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে হেলিপ্যাড ও বিশেষ ইন্টেরিয়র ডিজাইন। এসব বিষয়ে শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মাকসুদা আফরোজ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক মানের প্রায় সব ক্যাম্পাসেই হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা রাখা হয় জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য। এক্ষেত্রে তালে তাল মিলিয়েই চলবে শাহ মেরিন। আর তাই হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর ইন্টেরিয়রের বিষয়েও আমরা গুণগত মানের ওপর কোনো ছাড় দেবো না। তাই আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান দ্য ডুয়ার ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে দেয়া হয়েছে শাহ মেরিন এর ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ।

এসব বিষয়ে কথা হয় দ্যা ডুয়ার ইন্টেরিয়র এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুপু হায়দারের সঙ্গে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউট মূলত একটি মেরিন একাডেমি। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর ক্ষেত্রে জাহাজের অভ্যন্তরীণ ছবির সঙ্গে মিল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। একাডেমির ভেতরে ঢুকলে অনেকেরই মনে হতে পারে কোনো এক ক্রুজ শিপে ভ্রমণ করছেন। আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন হবে।

ক্যাম্পাসে আরো থাকছে ছাত্রদের জন্য সুইমিং পুল, প্লে-গ্রাইন্ড, জিম, ওয়ার্কশপ। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ক্যাম্পাসটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এম আই চৌধুরী।  

বাংলাদেশ সময়; ০৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
ইউএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।