ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলানিউজকে বাণিজ্য সচিব

রফতানি-বিনিয়োগে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
রফতানি-বিনিয়োগে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন

ঢাকা: ‘রফতানি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সব করণীয়ই করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সবকটি জেলা থেকে অন্তত একটি করে পণ্য বিদেশে রফতানির চেষ্টা চলছে।

বিদেশি বিনিয়োগ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়াতে নিরলস রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। ’
 
বাংলানিউজকে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে নিজেদের সম্পর্কে এভাবেই বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।

মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে বসে সচিব বলেন, সরকার বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগে মনোযোগী। যেখানেই সুযোগ দেখা যায়, সেখানেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছোট বা বড়, সব সুযোগই আসলে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে।
 
রফতানির খাতগুলো নির্দিষ্ট করে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে কমিটি হয়েছে। সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটি রফতানি বাড়াতে সবকিছুই করবে বলেও তিনি জানান।
 
সম্প্রতি দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেই বিশ্বাস তার।

প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ করে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, তারা আমাদের অতিথি। সর্বোচ্চ সম্মান দেই তাদের। এ দুই ঘটনা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে এ বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নেই। যাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, তারা আমাদের আন্তরিকতা সম্পর্কে জানেন।
 
সচিব বলেন, বাণিজ্যের সম্পর্ক একদিনে গড়ে ওঠে না। তাই কোনো ঘটনায় না বুঝে-শুনে সেটি নষ্ট করে ফেলার মতো বোকামিও কোনো দেশ করে না। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। বাইরের দেশগুলো এটি খুব পছন্দ করে।
 
রফতানি-বিনিয়োগসহ বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয়ে এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বলে জানান সচিব।
 
তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই যার যার অবস্থান থেকে দেশের বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছেন। তিনি (মন্ত্রী) বিভিন্ন দেশ সফরে গিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের দেশের সুবিধাগুলো তুলে ধরছেন। এখানে শ্রম সস্তা, বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও অগ্রাধিকার রেখেছে। সব মিলিয়ে বিদেশিদের আকৃষ্ট করার মতো সবই রয়েছে আমাদের।
 
সম্প্রতি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকার আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক শহীদুল হককে প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় প্রতিটি ক্ষেত্রে সজাগ রয়েছে। কোনো অনিয়ম জেনে-শুনে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
 
শহীদুলকে প্রত্যাহারের পর কয়েক দিন সে পদে লোক না থাকায় সমস্যা হয়েছে বলে পত্রিকায় এসেছে।

সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদটি যে খুব বেশি সময় খালি তা নয়। মন্ত্রণালয়ের টেক্সটাইল সেলের ডেপুটি চিফ মো. রুহুল আমিনকে সেখানে দেওয়া হয়েছে। খুব বেশি সমস্যা ওইটুকু সময়ে হওয়ার কথা নয়। কেউ ছুটিতে গেলে তার কাজগুলো যেমন কেউ না কেউ করে থাকেন, প্রধান নিয়ন্ত্রক ওই পদের কাজগুলো সেভাবেই করিয়ে নিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
এসকেএস/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।