ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এমডিসহ সাউথ বাংলার ২ পরিচালকের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এমডিসহ সাউথ বাংলার ২ পরিচালকের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক

ঢাকা: ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা বেসরকারি সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকে ঋণ প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। এসব দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল ইসলামসহ দুই পরিচালক জড়িত বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।


 
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি।
 
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুদকের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো অনুসন্ধানের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
 
দুদকে দাখিল হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালক মো. মোখলেসুর রহমান এবং মো. মাকসুদুর রহমান তাদের বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের নামে অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন।  
 
জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ভুয়া জমি বন্ধক রেখে এ দুই পরিচালক ব্যাংকের এমডি মো. রফিকুল ইসলামের সহায়তায় নিজেদের নামে এবং তাদের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নামে ঋণগ্রহণ করে তা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাদের এই ভুয়া ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের এমডি সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
 
এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ব্যাংকটির এমডি মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। যে বা যারা ঋণ পেয়েছেন শর্ত মেনেই পেয়েছেন। দুদকে আসা অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
 
সুষ্ঠু অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে না বলে তিনি মনে করেন।
 
দুদকে পেশ হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, মো. মোখলেছুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কনটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, বিঅ্যান্ডটি কোল্ডস্টোরেজ, প্রিস্টেট পোল লিমিটেড, বিঅ্যান্ডটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, বিঅ্যান্ডটি ক্যাবলস লিমিটেড। এসব কোম্পানির মালামাল আমদানি ও রফতানির নামে আন্ডার ইনভয়েস ও ওভার ইনভয়েস করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন।
 
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরো কিছু ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়া ব্যাংকের অপর পরিচালক মাকসুদুর রহমানের নামে রতন শিপিং লাইনস লিমিটেড, এম রহমান স্টিল মিলস লিমিটেড, ফারইস্ট প্রোপাইটার লিমিটেড, রতনপুর স্টিল মিলস লিমিটেড, এসএম স্টিল রিরোলিং মিলস লিমিটেড, রতনপুর শিপ রিসাইক্লিন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নামমাত্র সুদে ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নেওয়া অর্থ তার পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে রেখেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এডিএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।