ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘‌এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৫
‘‌এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এ বছরও গতবছরের মতো রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
 
বুধবার (৪ নভেম্বর) এনবিআর সম্মেলনে কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ট্যাক্স গাইডের মোড়ক উম্মোচন করে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআর সবাইকে নিয়ে কাজ করছে। আমরা এমন সব সম্ভাবনা দেখছি, এ বছরও গতবছরের মতো রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
 
চেম্বার বডিকে কর অব্যাহতি বিষয়ে তিনি বলেন, এনবিআর কর অব্যাহতি সংস্কৃতি পরিহার করছে। যেসব জায়গায় কর অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য সেগুলো ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছে। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে পদক্ষেপ থাকবে।
 
ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ সেবা দেবে, হয়রানি করবে না। এনবিআরের নীতি হচ্ছে, জিরো টলারেন্স অ্যাগেইনেস্ট করাপসশান, হ্যারাসমেন্ট ইন ডিসিপ্লিন অ্যান্ড মিস কন্ডাক্ট। এনবিআর ও ব্যবসায়ীরা হাতের এপিঠ-ওপিঠের মতো।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনবিআরে কোনো কোন্দল নেই। সহকর্মীরা সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে।
 
নজিবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর প্রথম কোয়ার্টারে লক্ষ্যমাত্রা কম ধরা হয়। এ বছর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করায় প্রতি কোয়ার্টারে সমান লক্ষ্যমাত্রা করে দেওয়া হয়েছে। বছরের প্রথমে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। এবার প্রথম কোয়ার্টারে আমদানিতে কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনসহ কয়েকটি সংস্থা ভ্যাট আদায় করলেও সময় মতো পরিশোধ করেনি বলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে এনবিআর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে যাচ্ছে, বলেন তিনি।
 
করমেলার মাধ্যমে মানুষ কর দিতে আগ্রহী হচ্ছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এসব বিবেচনায় এবার ১৯-২১ নভেম্বর একটি শীতকালীন করমেলা করা হবে। এতে ব্যবসায়ীসহ সব করদাতা বেশি বেশি কর দিতে আগ্রহী হবে।
 
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসায় নামার ক্ষেত্রে করের বিষয়ে তাদের যেন ভীতি না কাজ করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যাদের ব্যবসায় সব সময় লাভ হয় না। তাই কর দিতে পারে না। বোর্ড প্রতিবছর তাদের কর বাড়িয়ে দেয়।
 
ট্যাক্স নেট বাড়ানো ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসায়ীরা এনবিআরকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
 
ডিসিসিআই’র পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ব্যবসায় লাভ না হলেও কর বাড়িয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। হয়রানি না করে বন্ধুসুলভ আচরণ করলে ব্যবসায়ীরা কর দিতে উৎসাহী হবে। শুধু আয়কর নয় ভ্যাটের ওপর মেলা করা হলেও ব্যবসায়ীরা হয়রানি ছাড়াই ভ্যাট দিতে পারবে।
 
পরে এনবিআর চেয়ারম্যান ডিসিসিআই’র ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ট্যাক্স গাইডের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রাজস্ব বোর্ড সদস্য ও ডিসিসিআই পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৫/আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা
আরইউ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।