ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংককে বাণিজ্যমন্ত্রী

১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৫
১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আসরে সফলভাবে এগিয়ে যাবার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনার দেশ।

এখানে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে।

বুধবার (০৪ নভেম্বর) ব্যাংককে ‘এশিয়া প্যাসিফিক পার্টিসিপেশন ইন ভেলু চেইন: দি রোল অফ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পলিসিস’ শীর্ষক সভায় প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনায় ছিলেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনএসক্যাপ-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি  ড. শামশাদ আখতার।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইতোমধ্যে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন।

কেননা বাংলাদেশের সস্তা শ্রম এবং সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি, প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা তাদের উৎসাহিত করছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশব্যাপী একশ’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

এখানে বিদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সহায়তাসহ আকর্ষণীয় নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
   
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক পার্টিসিপেশন ইন ভ্যালু চেইন-এ বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ। তৈরি পোশাকের জন্য বাংলাদেশ পৃথক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ করছে। এ শিল্প পার্ক চালু হলে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ শুধু তৈরি পোশাক রফতানি করে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ওষুধ, আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ, ফার্নিচার খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
 
বিষয়ভিত্তিক প্যানেল ডিসকাসন পর্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন- শ্রীলংকার স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী শরথ অমুনুগামা, ইউনাইটেড আরব আমিরাতের দুবাই ডেভেলপমেন্ট অব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রায়েদ সাফাদি, হংকং ইউনিভার্সিটির এশিয়া গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের পেট্রিক ল, থাইল্যান্ড জয়েন্ট ফরেন চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান স্ট্যানলি কাং।

অনুষ্ঠানে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক ‘এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট-২০১৫’ উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।