ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলুতে এবারও স্বপ্নের বীজ বুনছেন কৃষকরা

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
আলুতে এবারও স্বপ্নের বীজ বুনছেন কৃষকরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহীতে গত বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও পাওয়া গেছে ভালো।

তাই  আবারও আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষকরা। এবারও স্বপ্নের বীজ বুনছেন আলুকে ঘিরে। কুয়াশাঢাকা ভোরে সূর্যের কিরণ ছড়ালেই বীজ নিয়ে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা। কাজ করছেন দুপুর পর্যন্ত।

বিশেষ করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, পবা, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলার যেকোনো সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আলুর মাঠ তৈরির এ দৃশ্যপট চোখে পড়বে। কেউ পাম্পের সাহায্যে পানির সেচ দিচ্ছেন, কেউ নিড়ানি, কেউ দিচ্ছেন সার। কেউবা মাঠজুড়ে বুনছেন বীজ।

রাজশাহীর পবা উপজেলার পিল্লাপাড়া গ্রামের আব্বাস উদ্দিন জানালেন, এ বছর সার ও বীজ হাতের নাগালেই। এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও অনুকূলে। তাই কৃষকরা সময় নষ্ট না করে আলুর জমিতে নেমে পড়েছেন। নিড়ানি দেওয়া, সার দেওয়া ও বীজালু রোপনেই ব্যস্ত থাকছেন দিনের অর্ধেক সময়।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের সফল আলুচাষি নুরুল ইসলাম জানান, আলু একটি অর্থকরী ফসল। কিন্তু মৌসুমের নির্ধারিত সময় ছাড়া আলুর বীজ রোপন করা যায় না। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আলু রোপন করতে না পারলে ভালো ফলনও পাওয়া যায় না। তাই শীত শুরুর সময়ে আলু চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেন কৃষকরা।

‘কপাল ভালো থাকলে আলুর বাম্পার ফলন আর না থাকলে লোকসান। দুই বছরের লোকসানের পর গতবার আলুর ফলন ও দাম দু’টোই ভালো পাওয়া গেছে। শেষের দিকে অবরোধ-হরতাল না হলে আরও মুনাফা হতো। কিন্তু অবরোধে আলু বাজারজাত না করতে পেরে অনেকের ক্ষতিও হয়েছে। ’

তবে লাভ-লোকসান যাই হোক, প্রতিবারের মতো এবারও তিনি তার ১২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করবেন। তার মতো অনেক কৃষকই এখন আলুর বীজ বুনতে শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও শীত বাড়বে। তখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও ব্যাপক আলুর চাষ শুরু হবে বলে জানান এ কৃষক।

এদিকে, রাজশাহী জেলায় আলুচাষ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তা নির্ধারণের কথা রয়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একটি সূত্র জানান, গতবছর জেলার নয় উপজেলায় আলু চাষ হয়েছিলো ৩৬ হাজার ৯শ ১৫ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৩৪ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর। অর্থাৎ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজশাহীতে গতবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলন পাওয়া গেছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হযরত আলী বলেন, এখন পর্যন্ত আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে গতবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই তা নির্ধারণ করা হবে।

এছাড়া আলুর জন্য এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষকরা তাই আলু রোপনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএস/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।