ঢাকা: নাটোর জেলার সফল মাছ ব্যবসায়ী গোলাম নবী। লেখা-পড়ায় খুব বেশি অগ্রসর হতে না পারলেও বড় হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার।
সামান্য পুঁজি নিয়ে ১৯৯৪ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাছ চাষ শুরু করেন নবী। মাছের পোনা উৎপাদন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার পথ চলা। আর্থিক সংকটে ধীর গতিতে চলছিল তার পোনা উৎপাদন ও মাছ চাষ।
এ সময় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে তার পাশে দাঁড়ায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নাটোর জেলা শাখা। গোলাম নবীকে প্রথম পর্যায়ে দুই লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিনিয়োগের টাকায় তিনি প্রায় সাত বিঘার কয়েকটি পুকুর লিজ নিয়ে ব্যবসা পরিধি বাড়ান। এখন নবী ব্যাংকের একজন বড় বিনিয়োগ গ্রাহক।
বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তিনি নিজের পুকুরসহ প্রায় ৩শ’ বিঘা জলাভূমিতে মাছের চাষ করছেন। এসব খামারে প্রায় ১শ’ শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছে।
গোলাম নবীর মত দেশের ৬৩ হাজার উদ্যোক্তাকে এসএমই বিনিয়োগ দিয়ে সাহায্য করছে ইসলামী ব্যাংক। এসএমই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যার উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষিত বেকার যুবক ও অসহায় নারী।
এসএমই খাতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এ ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা যা দেশের মোট এসএমই বিনিয়োগ বিতরণের ২৭ শতাংশ।
এসএমই’র মাধ্যমে দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে বেসরকারি খাতের বৃহৎ এ ব্যাংকটি।
ইসলামী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা বিনিয়োগ প্রকল্প, ক্ষুদ্র শিল্প বিনিয়োগ প্রকল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা বিনিয়োগ প্রকল্প, প্রবাসী উদ্যোক্তা বিনিয়োগ প্রকল্পের মত বেশ কিছু এসএমই প্রোডাক্ট চালু করেছে।
দেশব্যাপী ইসলামী ব্যাংকের সব শাখায় এসএমই সেবা ও বিনিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এটি